পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( s२४ ) পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে কনিষ্ঠা কন্য। আমন বিীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সিরাজউদৌল্লাকে আলিবদী বাল্যকাল হইতে পোষ্যপুত্ররূপে গ্ৰহণ করিয়া লালন পালন করিতেছিলেন। সায়র মোতাক্ষরীণ প্রণেতা বলেন, “প্রেমিক যেমন প্রিয়তমার আদর্শনে উদ্ভাস্তচিত্ত হয়, আলিবন্দী ও ঐরূপ সিরাজকে দুই দণ্ড দেখিতে না পাইলে অস্থির হইয়৷ পড়িতেন ।” আমন বেগমের স্বামী জয়মদিন আহাম্মদ বিহার প্রদেশের মুবাদারী-পদে নিযুক্ত ছিলেন । মীরহবিরপ্রমুখ দুৰ্দ্দান্ত আফগানগণ সন্ধির ছলনায় পাটনার প্রবেশ করিয়৷ ১৭৪৭ পৃষ্ঠানে র্তাহাকে হত্যা করে এবং তদীয় বিধবা পত্নী ও অনাথ বালক-বালিকাগণকে কারাগারে নিক্ষেপ করে । এই নিদারুণ সংবাদ আলিবর্দীর কর্ণগোচর হইলে তিনি ১৭৪৮ খৃষ্টাব্দের মার্চ মাসে সনৈন্তে পাটনায় গমন করিয়া ঐ আফগানদিগকে পরাভূত করেন এবং পাটনা নগরীর উদ্ধার সাধন করিয়া সসন্তান কারারুদ্ধ তনয়াকে তাহাদিগের কালকবল হইতে মুক্ত করেন । এই যুদ্ধে নবাবের মধ্যম ভ্রাতুষ্পুত্র ও মধ্যম তনয়ার স্বামী সৈয়দ আহম্মদ তাহার অনুগমন করিয়াছিলেন। আলিবর্দী প্রথমতঃ ঐ জামাতাকেই বেহার প্রদেশের শাসন-কর্তৃত্বে নিযুক্ত করিবেন বলিয়া সংকল্প করেন। কিন্তু নবাব পত্নীর বিরুদ্ধচরণে এই সংকল্প কার্য্যে পরিণত হইতে পারে নাই। আলিবর্দীর ন্যায় তদার সহধৰ্ম্মিণীও সিরাজের প্রতি নিরতিশয় স্নেহপরায়ণা ছিলেন। আলিবর্দী লোকাস্তুর গমন করিলে বাঙ্গালার সিংহাসন সিরাজের করতলগত হয়, ইহা স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই আন্তরিক অভিলাষ ছিল । নবাব-পত্নী মনে করিয়াছিলেন, বিহারপ্রদেশ বঙ্গরাজ্যের দ্বারস্বরূপ এবং এই প্রদেশ সৈয়দ আহম্মদের হস্তগত হইলে সিরাজের পক্ষে বাঙ্গালার সিংহাসন লাভ করা সহজসাধ্য হইবে না । সুতরাং তিনি স্বামীকে বলেন যে, বিহার প্রদেশের শাসনকর্তৃত্ব পৈত্রিকস্বত্বে