পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ রামদাস সেন ও কৃষ্ণদাস সেন ৰে সময় রামদাস পিতার প্রতিনিধিস্বরূপ চাক-বিভাগের দেওয়ানিকার্থ্যে নিযুক্ত হইলেন, ঐ সময় তাহার বয়ঃক্রম ত্রয়োবিংশ বর্ষ মাত্র। প্রতিভাসম্পন্ন যুবক এই অল্প-বয়সে শাসন-কার্য্যে যেরূপ দক্ষতা প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহ শ্রবণ করিলে চমৎকৃত হইতে ছয় । “তালতলার খাল” নামক যে পয়ঃ-প্রণালী বিক্রমপুরের বক্ষ ৰিদীর্ণ করিয়া “কীৰ্ত্তিনাশা” নদীর সহিত “ধলেশ্বরী” নামক শ্রোতস্বতীকে সংযুক্ত করিয়াছে, তাহা এই রামদাসের প্রযত্নেই খনিত হইয়াছিল । পূৰ্ব্বে রাজনগর হইতে নৌকাপখে চাকায় আসিতে হইলে ক্রমে কীৰ্ত্তিনাশা, মেঘনাদ এবং ধলেশ্বরী-নামক তিনটি নদী অতিক্রম করিতে হইত এবং তাহাতে তিন দিবস অতিবাহিত হইত। এই প্রণালী দ্বারা ঐ উভয় স্থলের দূরত্ব তিন দিবসের স্থলে অৰ্দ্ধ দিবসে পরিণত হইয়াছে। কথিত আছে যে, রামদাস প্রত্যহ প্রত্যুষে রাজনগর হইতে যাত্রা করিয়া নিয়মিত সময়ে চাকায় উপস্থিত হইয়। রাজকাৰ্য্য করার অভিপ্রায়ে এই খাল খনন করাইয়াছিলেন । ঐ খালের পূৰ্ব্বতীরে এবং “তালতলা” বন্দরের বিপরীত দিকে এক ইষ্টকনির্মিত একতল মন্দির অম্ভাপি বিভমান আছে। জনশ্রুভি এই যে, রামদাসের নৌকা রাজনগর হইতে যাত্রা করিয়া এইস্থলে উপস্থিত হইলেই প্রাতঃসন্ধ্যা-বন্দনাদির সময় উপস্থিত হইত এবং এজন্য তিনি প্রাতঃক তা সমাপন করিবার উদেশে এই গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । এই মন্দির-মধ্যে এক পাষাণময় শিবলিঙ্গ ও