( tכאל ) পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে এই সময় ওয়াটু সাহেব কাসিমবাজারের কুঠার অধ্যক্ষপদে নিযুক্ত ছিলেন। সুচতুর রাজবল্লভ বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, বাঙ্গালাদেশে একমাত্র ইংরেজ ভিন্ন অন্ত কেহ সিরাজের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিতে সাহসী হইবে না। সুতরাং তিনি স্বীয় সম্পত্তি রক্ষা করিবার নিমিত্ত ওয়াট সাহেবের সহিত পরামর্শ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। ওয়াট সাহেবের দৃঢ় প্রতীতি হইয়াছিল যে, আসন্ন বিপ্লবে ঘেসেটি বিবীর পক্ষই জয়লাভ করিবে ; সুতরাং তিনি ঐ মহিলার সুযোগ্য দেওয়ান রাজবল্লভের মনোরঞ্জন করিতে সহজেই সন্মত হইলেন এবং তাহার প্রেরিত লোককে কলিকাতায় আশ্রয় প্রদান করিবার নিমিত্ত ঐ স্থলের অধ্যক্ষকে লিখিয়া পাঠাইলেন । তৎকালে আমিনচাদ নামক পশ্চিমভারত-বাসী জনৈক বণিকৃ কলিকাতায় অবস্থান করিয়া বাণিজ্য করিতেছিল। মুরশিদাবাদ নবাব দরবারে এবং কলিকাতা ইংরেজ মহলে ঐ বণিকের যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল । রাজবল্লভের সহিত আমিনচাদের বন্দোবস্ত হইল যে, পুত্র কৃষ্ণদাস কলিকাতায় উপস্থিত হইয়া তাহার আলয়ে অবস্থান করিবেন। এক্ষণে তিনি শ্ৰীক্ষেত্র যাত্রার ছলে পরিবারবর্গ ও ধন সম্পত্তি সহ অগোণে কলিকাতায় উপপস্থিত হইবার নিমিত্ত কৃষ্ণদাসকে সংবাদ প্রেরণ করিলেন। এই সময় কৃষ্ণদাসের হস্তে ঢাকার শাসন-কর্তৃত্ব ন্যস্ত ছিল । পিতার আদেশ পাইয়া তিনি প্রকাস্তে জগন্নাথ যাত্রার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন এবং অল্পকাল মধ্যে বহু সংখ্যক নৌকা সংগ্ৰহ করিয়া তন্মধ্যে যাবতীয় ধনরত্ব নিহিত করিলেন। শুভ দিনে কৃষ্ণদাস পরিবারবর্গ সহ নৌকায় আরোহণ করিয়া ঢাকা হইতে যাত্রা করিলেন। ক্রমে নৌশ্রেণী ত্রিমোহনার নিকট উপস্থিত হইলে, কৃষ্ণদাস নাবিকদিগকে বঙ্গোপসাগরের দিকে গমন করিতে নিষেধ করিয়া, বড় গঙ্গা অবলম্বন করিবার আদেশ - প্রদান করিলেন। এ পর্য্যন্ত কেহই তাহার অভিসন্ধি বুঝিয়৷