( »१२ ) | বহিস্কৃত করিয়া দিল। এই ঘটনায় নবাবের ক্রোধের পরিসীমা রছিল না এবং তিনি ইংরেজদিগকে সমুচিত শিক্ষা দিবার কল্পনা করিয়া সসৈলে কলিকাতা অভিমুখে ধাবমান হইলেন । মুরশিদাবাদ নগরে পূৰ্ব্বোক্ত আমিনচাঁদের জনৈক আত্মীয় বাস করি তেন। তিনি মনে করিলেন, সিরাজ কলিকাত আক্রমণ করিলে আমি চাদের গুরুতর অনিষ্ট সাধিত হইবে। স্বতরাং কালবিলম্ব না করিয়া তিীি আমিনচাদের নিকট সিরাজের অভিযানের বৃত্তান্ত লিখিয়া পাঠাইলেন দুর্ভাগ্যক্রমে র্তাহার প্রেরিত লিপি ইংরেজদিগের হস্তগত হইল সন্দিগ্ধচিত্ত ইংরেজগণ মনে করিলেন, আমিনচাদের সহিত সিরাজে ষড়যন্ত্র চলিতেছে ; সুতরাং তাহারা অবিলম্বে নিরপরাধ আমিনটাদে প্রাসাদ সসৈন্তে অবরোধ করিলেন। এই সময় আমিনচাদ কলিকাত নগরীতে রাজসম্পদে অবস্থান করিতেছিলেন। তাহার বিস্তৃত । রমণীয় অট্টালিকা, অট্টালিকার দ্বারদেশে বহুসংখ্যক সুসজ্জিত পদাত্তি এবং উন্নত অবস্থার পরিচায়ক অশ্বযান প্রভৃতি উপকরণ অবলোক করিলে, র্তাহাকে নবাব শ্রেণীস্থ পরাক্রান্ত লোক বলিয়া সহজেই ভ্র জন্মিত। হাজারিমল্প নামক আমিনচাদের জনৈক শুালক ঐ সম তদীয় আলয়ে বাস করিত। ইংরেজ সৈন্ত আমিনচাদের প্রাসা অবরোধ করিলে, হাজারিমল্প প্রাণভয়ে অন্তঃপুরে প্রবেশ করে। দুৰ্ব্ব ইংরেজসৈন্যগণ হাজারিমল্পকে ধৃত করিবার অভিপ্রায়ে অন্তঃপুরে প্রবে: করিতে উদ্যত হইলে, আমিনচাদের পদাতিকগণ অগ্রসর হইয়া বাং প্রদান করে। আমিনচাদের প্রহরীর সংখ্যা তিন শতের নুন ছিল না সুতরাং উভয় পক্ষ মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলিতে লাগিল। ইংরেজসেন অবিলম্বে ঐ প্রহরিবর্গকে পরাভূত করিয়া ক্রমে অন্তঃপুরের দ্বারদে:ে উপস্থিত হইল। জগন্নাথসিংহ নামক জনৈক জমাদার এই স্থল রক্ষা নিযুক্ত ছিলেন। তাহার শিরায় পবিত্র ক্ষত্রিয় রক্ত প্রবাহিত ছিল