পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ অসন্তোষ বহ্নি প্রধুমিত সিরাজউদৌল্লার নবাবী আমলের প্রথম ভাগে, বাঙ্গালা দেশে যে সমস্ত প্রধান রাজপুরুষ বিদ্যমান ছিলেন, তন্মধ্যে রাজবল্লভ, মীরজাফর, . জগৎশেঠ-মহাতাপচাদ, রায়দুল্লভ এবং রামনারায়ণের নামই সমধিক উল্লেখযোগ্য । রায়দুল্লভ জানকীরামের পুত্র। যে সময় আলিবর্দী মুজ খার অধীনতায় উড়িষ্যা প্রদেশের অন্তর্গত অসুরেশ্বর পরগণার তহসীলদারী কার্ষ্যে নিযুক্ত ছিলেন, সেই সময় জানকীরাম তাহার পেস্কারী পদ লাভ করেন। আলিবর্দী পাটনার শাসন-কর্তৃপদ লাভ করিলে জানকীরাম ঐ প্রদেশের দেওয়ানি পদে উন্নীত হন। গিরীয়ার যুদ্ধাবসানে বাঙ্গালার সিংহাসন আলিবর্দীর করতলস্থ হয়, এবং সঙ্গে সঙ্গে জানকীরামও বাঙ্গালার সমর-সচিবের পদ-প্রাপ্ত হন। পাটনার শাসনকর্তা জয়নদিন আহাম্মদ আফগান কর্তৃক হত হইলে, আলিবর্দীর অনুগ্রহে জানকীরাম সিরাজের প্রতিনিধিস্বরূপ ঐ প্রদেশের শাসন দণ্ড পরিচালন করিতে প্রবৃত্ত হন । বাঙ্গালার সিংহাসন অধিকৃত হওয়ার অব্যবহিত পরে আলিবন্দী, স্বজাখার জামাত মুরশিদ কুলীখাকে উড়িষ্যা প্রদেশের শাসন-কর্তৃত্ব হইতে বিতাড়িত করিয়া, সেনানী মুস্তাফার ভ্রাতুষ্পুত্র আবদুল রম্বলকে લે প্রদেশের শাসন-কর্তৃপদে এবং রায়দুল্লভকে তাহার আমমোক্তারের পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। মুস্তাফা বিদ্রোহী হইলে, আবদুল রসুল উড়িষ্যার