পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२२ ) লাহেবের বিরুদ্ধবান্ধী ছিলেন, ভষ্মধ্যে অমিয়টু সাহেবই সৰ্ব্বপ্রধান। কৌন্সিলের অধিকাংশ সভ্য ভাঙ্গিটার্টের দলভুক্ত ছিলেন বলিয়া তাহার পক্ষই প্রবল হইয়াছিল। মীর কাসেমের নবারিপদে মিয়োগ বিষয়ে ভান্সিটার্ট সাহেব সরিশেয় অগ্রণী ছিলেন। অমিয়টু এবং তাহার দলভূক্ত অপর সদস্তগণ এ নিমিত্ত মীর কাসেমের শক্র হইয়া -দাড়াইয়াছিলেন। . . . রামনারায়ণ প্রকাশুে মীর কাসেমের বগুতা স্বীকার করিলেও, গোপনে অমিয়ই সাহেবের সহিত যোগদান করিয়া তাহার অনিষ্ট সাধনে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। ক্লাইব স্বদেশে গমন করার পর জেনারেল কুটু সাহেব ইংরেজ সেনার অধিনায়কত্ব লাভ করেন। কুটু সাহেব আজিমাবাদে উপস্থিত হইলেই রামনারায়ণ নানা কৌশলে তাহার প্রতি আকর্ষণ করিতে সমর্থ হন। একদিন রামনারায়ণ কুটু সাহেবের নিকট বলিলেন, নবাব ইংরেজ সেনার উপর অতর্কিতভাবে মিপতিত হইবার সংকল্প করিয়াছেন। সরলচেতা ইংরেজ-সেনানী রামনারায়ণের ধূৰ্ত্ততা বুঝিতে অক্ষম হইয়া, তাহার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করিলেম এবং পর দিন রাত্রি প্রভাত হইবার পূর্কেই কতিপয় সেনাসহ মীর কাসেমের শিবির সন্নিধানে উপস্থিত হইলেন। কুট্‌ সাহেবের বিশ্বাস ছিল, তিনি নবাবকে যুদ্ধোপ্তমে ব্যাপৃত দেখিবেন, কিন্তু তিনি দেখিতে পাইলেন যে, নবাব নিদ্রাগত আছেন এবং তাহার শিবিরে যুদ্ধোস্তমের অণুমাত্র চিহ্নও বিদ্যমান নাই। সাহেব এই ঘটনায় সাতিশয় লজ্জিত হইলেন, এবং নবাব জাগরিত হইলে, এই অভদ্রতার নিমিত্ত নবাবের নিকট ক্ষম প্রার্থনা করিবার জন্ত তথায় জনৈক সেনানী রাখিয়া ক্রতপদে তথা হইতে প্রস্থান করিলেন (১)। . . ..' (») English Translation of Sair Motakharin, Vol. II. pages 415 & 416,