পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २88 ) “বার” নামক স্থানে আগমন করিয়া শেঠ ভ্রাতৃদ্বয়কে দ্বিখণ্ডিত করিয়াছিলেন । ক্ষিতীশ বংশাবলীতে লিখিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও তদীয় পুত্ৰ স্বদীর্ঘ পূজার আয়োজন করিয়া আসন্ন মৃত্যু হইতে রক্ষা পাইয়াছিলেন। ৮ কাৰ্ত্তিকেয় বাবু বলেন, কৃষ্ণচন্দ্র পূজায় নিবিষ্ট হইলে মীরকাসেমের দূত র্তাহাকে দরবারে লইয়া যাইবার জন্ত উপস্থিত হয়, এবং তিনি পূজা সমাপনান্তে তথায় উপস্থিত হইবেন এই কথা বলিয়া সুদীর্ঘ পুজায় নিমগ্ন হন । এই অবসরে ইংরেজ সেনা মুঙ্গেরে উপস্থিত হইলে, মীর কাসেম অতি ব্যস্ততার সহিত মুঙ্গের হইতে প্রস্থান করেন এবং কৃষ্ণচন্দ্র ও তদীয় পুত্র এই দৈব ঘটনায় কাল-কবল হইতে মুক্তিলাভ করেন (১) । মোতাক্ষরীণ পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, ঐ সময় কোন ইংরেজ সেনা আদৌ মুঙ্গেরে উপস্থিত হয় নাই। সুতরাং অনুমান হইতেছে যে, কৃষ্ণচন্দ্র ও তদীয় পুত্র প্রহরিবর্গকে উৎকোচে বশীভূত করিয়া পলায়ন করিয়াছিলেন । অতঃপর কিরূপে মীরকাসেম মুঙ্গের হইতে উদয়নালায় উপস্থিত হন, কিরূপে উদয়নালার দুর্গ ইংরেজ হস্তে নিপতিত হইলে, তিনি ঐ স্থল ত্যাগ করিয়া অযোধ্যার নবাবের আশ্রয় গ্রহণ করেন, এবং অযোধ্যার নবাব তাহার সৰ্ব্বস্ব অপহরণ করিলে, তিনি পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে প্রস্থান করিয়া ফকিরের বেশে শেষজীবন অতিবাহিত করেন, তাহ প্রত্যেক ইতিহাসজ্ঞ পাঠক অবগত আছেন। অনাবগুক বোধে ঐ বিষয়ের বর্ণনা পরিত্যক্ত হইল । - (১) ক্ষিতীশ বংশাবলী, ১২৬ পৃঃ।