পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( a ) রাজ-প্রাসাদের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে ও কিঞ্চিৎ ব্যবধানে স্বপ্রসিদ্ধ কৃষ্ণদেব বিদ্যাৰাগীশের বাস-ভবন । ঐ আলয়ের পুরোভাগে এক তোরণ-দ্বার এবং তৎপশ্চাৎ কতিপয় রমণীয় অট্টালিকা বিদ্যমান ছিল । বিদ্যাবাগীশ মহাশয় স্থপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও মহারাজ রাজবল্লভের শিবমন্ত্রদাতা ছিলেন । এই ভবনের পশ্চিম দিকে "ভরদ্বাজ-পাড়া’ নামে এক পল্লী ও তাহার পশ্চিমে ‘বাৎস্যপাড়া’ নামে দ্বিতীয়-পল্লী অবস্থিত ছিল। ঐ উভয় পল্লীতে তত্তদূ-গোত্রীয় ব্রাহ্মণগণ বাস করতেন। রাজভবনের পশ্চিম ও ঐ সমস্ত পল্লীর উত্তর-ভাগে পশ্চিমপাড়া’ নামক পত্নী। এ স্থলে রাজবল্লভের বহুসংখ্যক জ্ঞাতি বাস করিতেন এবং প্রত্যেকের আবাসস্থল স্বীয় স্বায় অবস্থার উপযোগী অট্টালিকা ও জলাশয়দ্বাৱ৷ সুশোভিত ছিল । পুরাতন দীঘির পূর্বভাগে রাউতপাড়া’ নামক এক বিস্তৃত পত্নী । পশ্চিম পাড়ার ন্যায় এই স্থানও রাজবল্লভের জ্ঞাতিগণ-কর্তৃক অধুষিত । ছিল। রাউতপাড়ার পূৰ্ব্বভাগে ‘রাণীসাগর’ নামক সরোবর, ঐ সরোবরের তটদেশে রজঃপুত-জাতীয় বহুসংখ্যক লোক উপনিবেশ সংস্থাপন করিয়াছিল । ঐ সমস্ত রজঃপুতগণ রাজকীয় সৈন্য-বিভাগে কাৰ্য্য করিত। রাণীসাগরের পূৰ্ব্বভাগে নারিকেলতা’ নামক পল্লী ও তাছার পূৰ্ব্বভাগে ‘মান্দারিয়া’ প্রভৃতি কতিপয় পত্নী অবস্থিত ছিল । ‘কৃষ্ণসাগর ও ‘মতিসাগর' নামক দুই বৃহৎ সরোবর এই নারিকেলত পল্লীর অন্তর্গত ছিল । রাজবল্লভের দ্বিতীয় পুত্র রাজা কৃষ্ণদাস বাহাদুর কৃষ্ণসাগর নামক সরোবর খনন করাইয়াছিলেন। রাজসাগরের পশ্চিমভাগে ‘চাকলাদার পল্লী’ ও তাহার পশ্চিমে "ভরদ্বাজ পল্লী’ অবস্থিত ছিল । এ স্থলেও বহুসংখ্যক ব্রাহ্মণ বাস করিতেন। ভরদ্বাজ পল্লীর পশ্চিম ভাগে ‘শিববাড়ীর দীঘি নামে এক বিস্তৃত সরোবর ; এই সরোবরের উত্তর তটে বহুসংখ্যক মঠ সংস্থাপিত ছিল, এবং প্রতি মঠের অভ্যন্তরে रे - . ة " شن .. : بيننا .. نعم