পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २७० ) করিতেছিলেন, এবং ঘেসেটি বিবী কারাযন্ত্রণ সহ করিতে অসমর্থ হুইয়া সিরাজের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন। পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে, সিরাজের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হইয়াছিল, ঘেসেটি বিবীর প্রতিনিধি স্বরূপ রাজবল্লভের সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়া সম্ভবপর। প্রভুপত্নীর প্রতি যে ব্যক্তি ছৰ্ব্ব্যবহার করে, ভাস্থার বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়া কদাচ নিন্দনীয় বলিয়। বিবেচিত হইতে পারে না । দেশের কণ্টক উদ্ধারকল্পে চেষ্টা করা প্রত্যেক প্রধান ব্যক্তির অবগু কৰ্ত্তব্য। বর্ষীয়ান মীরজাফরের শাসনকালে অত্যাচারের লাঘব হষ্টবে, এই ভরসায় রায়দুল্লভ প্রভৃতি বাঙ্গালা দেশের সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণ উচ্ছৃঙ্খল ও অত্যাচার-পরায়ণ সিরাজ উদৌল্লার উচ্ছেদ সাধনে যত্নবান হইয়াছিলেন । এ অবস্থায় তাহীদের কার্য্যে দোষারোপ করা কখনই সঙ্গত হইতে পারে না । মুসলমান রাজত্ব ধ্বংস করাই জগদীশ্বরের অভিপ্রেত হইয়াছিল। হিন্দুগণ প্রাচীন আদর্শ হইতে স্থালিত-পদ হইয়া মুসলমান কর্তৃক রাজ্যচুতি হইয়াছিলেন, এবং মুসলমানগণ বিলাস সাগরে নিমগ্ন হইয়া ও নানা প্রকারে দ্যায়ের মর্য্যাদা লঙ্ঘন করিয়া রাজ্য শাসন বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অনুপযুক্ত হইয়াছিলেন। হিন্দু রাজত্বের শেষভাগে যে অবনতির স্রোতঃ প্রবহমাণ হইতেছিল, তাহা মুসলমান শাসনে রুদ্ধ না হইয়া পূর্ণত। প্রাপ্ত হইয়াছিল। মুসলমান শাসনে লোক-শিক্ষা বিষয়ক কোন উন্নতিই সাধিত হয় নাই। সম্রাট আরঙ্গজেব- কুটিল নীতি অবলম্বন করিয়া মুসলমান রাজত্বের মূলে কুঠারাঘাত করিয়াছিলেন। তিনি যে রাজ্য রাখিয়া পরলোক গমন করেন, তাহা আকারে স্ববৃহৎ হইলেও অস্তঃসার বিহীন হইয়া পড়িয়াছিল। আরঙ্গজেবের পরলোক গমনের সঙ্গে সঙ্গে, বিভিন্ন প্রদেশের - শাসন-কর্তৃগণ দিল্লির অধীনতাপাশ ছিন্ন করিয়া প্রায় স্বাধীনভাবে শাসনদও পরিচালনা করিতে