পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७२ ) প্রজারঞ্জক শাসনকৰ্ত্ত ছিলেন । র্তাহার শাসনকালে টাকায় আট মণ দরে চাউল বিক্রীত হইয়াছিল। ১৬৮৯ খৃষ্টাব্দে কার্ষ্য পরিত্যাগের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে তিনি ঢাকা নগরীতে এক তোরণ-দ্বার নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন । নগর হইতে বহির্গমন কালে তিনি ঐ তোরণ-দ্বার অর্গল বদ্ধ করিয়া তাহার উপরিভাগে লিখিয়াছিলেন, “যে নবাব তাহার হায় সুলভ মূল্যে চাউল বিক্রয় করাইতে অক্ষম হইবেন তিনি যেন ঐ অর্গল উন্মুক্ত না করেন” । নবাব সায়েস্তা খার শাসন-সময়ে পটুগিজ জলদস্থ্যগণ সমুচিত শিক্ষা লাভ করিয়াছিল। তিনি ঐ দমু্যদিগকে যুদ্ধে পরাভূত করিয়া তাহাদিগের অবস্থানের নিমিত্ত বিক্রমপুরের অন্তর্গত রামপালের নিকটবৰ্ত্তী একটি স্থান নিদিষ্ট করিয়া দেন। ঐ পটুগিজদিগের বংশধরগণ অদ্যাপি তথায় অবস্থান করিতেছে এবং তাহাদের আবাসস্থল এখন “ফিরিঙ্গি-বাজার’ নামে অভিহিত হইতেছে। সায়েস্তা খার পর ইব্রাহিম খা এবং ইব্রাহিম খার পর মহম্মদ আজিমের পুত্ৰ আজিম ওশান বাঙ্গালার নবাবী পদ লাভ করেন। আজিমওশানের শাসনকালে সুপ্রসিদ্ধ মুরশিদ কুলীৰ্থ বাঙ্গালার দেওয়ানী পদে অভিষিক্ত হন। আজিম ওশানের সহিত অবর্গ হওয়ায় ১৭০৪ খৃষ্টাব্দে মুরশিদ কুলী খ৷ পদ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক মুরশিদাবাদে দেওয়ানী বিভাগ স্থানান্তর করেন। আজিম ওশানের পর ফেরক সিয়ার বাঙ্গালার নাজিমী পদ লাভ করিয়াছিলেন । অবশেষে তিনি দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করিলে ১৭১৮ খৃষ্টাব্দে মুরশিদকুলী খী বাঙ্গালার নাজিমী পদে বরিত হন। এই সময় হইতে বাঙ্গালা দেশের নাজিমী ও দেওয়ানী উভয় বিভাগ একই ব্যক্তির কর্তৃত্বাধীন হয়। মুরশিদ কুলী খাঁ নাজিমী পদ লাভ করিয়া বাঙ্গালা দেশ ত্রয়োদশ চাকলায় বিভক্ত করেন (১)। (১) ত্রয়োদশ চাকলার নামঃ—বন্দর বালেশ্বর, হিজলী, সাতগা বৰ্দ্ধমান, মুরশিদাবাদ, যশোহর, ভূষণ,আকবরনগর,ঘোরাঘাট,কড়ইবাড়ি,জাহাঙ্গীরনগর,ীহট্ট, ইসলাম্যবাদ।