পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ৩৯ ) কৃষ্ণজীবনের প্রথম দুই পুত্র অতি অল্প বয়সে কালগ্রাসে পতিত হন। কথিত আছে যে জনৈক সন্ন্যাসী কৃষ্ণজীবনের গৃহে আগমন করিয়া প্রকাশ করেন যে, ঐ পুত্রদ্ধর অপদেবতা। অনন্তর ঐ সন্ন্যাসী মন্ত্র প্রয়োগ দ্বারা উভয়কে বিনষ্ট করিয়া কৃষ্ণজীবনকে একটি লক্ষ্মীনারায়ণ চক্র প্রদান করেন এবং র্তাহার বংশে এক মহাপুরুষ জন্ম গ্রহণ করিবেন বলিয়া আশ্বস্ত করেন। রাজনগরের সুপ্রসিদ্ধ “রাজ। লক্ষ্মীনারায়ণই” ঐ সন্ন্যাসিপ্রদত্ত লক্ষ্মীনারায়ণ চক্র এবং সন্ন্যাসীর কথিত মহাপুরুষই রাজবল্লভ সেন । অনেকে বলেন রাজবল্লভের জন্মের অব্যবহিত পূৰ্ব্বে একদা রজনীযোগে কৃষ্ণজীবন ও তদীয় সহধৰ্ম্মিণা একত্রে নিদ্রাগত আছেন, এমন দময় মজুমদার পত্নী স্বপ্নে দেখিলেন যে, স্বয়ংচন্দ্রমা আকাশ হইতে ভূতলে অবতীর্ণ হইয়া তাহার উদর মধ্যে প্রবেশ করিতেছেন। অনন্তর তিনি জাগরিত হইয়া স্বপ্নবৃত্তাস্ত স্বামীর নিকট জ্ঞাপন করিলে কৃষ্ণজীবন তদীয় গণ্ডদেশে এক চপেটাঘাত করেন । জমিদার তনয়া স্বামিহস্তে এইরূপে অপ্রত্যাশিতভাবে লাঞ্ছিত হইয়া অভিমানভরে সমস্ত রজনী অনিদ্রায় কৰ্ত্তন করেন। রাত্রি প্রভাত হইলে কৃষ্ণজীবন পত্নীকে এই লিয়া প্রবোধ দিলেন যে, শুভস্বপ্ন দেখিয়া নিদ্রাগত হইলে তাহা কখনও সফল হয় না, এবং তাহাকে জাগরিত রাখিবার উদ্দেশ্ৰেহ ঐরূপ দুৰ্ব্ব্যবহার করা হইয়াছে। বলা বাহুল্য রাজবল্লভের ভাবী জননী এই কথা শুনিয়া সত্ত্বেনা লাভ করিয়াছিলেন । কথিত আছে যে নবদ্বীপাধিপতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র হস্ত-চালনা বিদ্য৷ শক্ষা করিয়াছিলেন। একদ। তিনি হস্ত-চালনাদ্ধারা যে শ্লোক প্রাপ্ত ন, তাহা এই— - কিংবা পৃচ্ছসি রে মুঢ় বারং বারং পুনঃ পুনঃ । পুৰ্ব্বে রাজা জরাসন্ধ ইদানীং রাজবল্লভঃ ॥