পাতা:মহারাষ্ট্র-নৃপেন্দ্রকুমার বসু.djvu/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ស្ថា శిక কাশীর প্রসিদ্ধ পণ্ডিত থাগ ভট্ট আসিয়া, স্বাগষজ্ঞ করিয়া, মন্ত্রতন্ত্ৰ পড়িয়া, যথাবিধি অভিষেক-ক্রিয় সম্পন্ন করিলেন। রাজ্যের চতুর্দিক হইতে করদ রাজা, মোকৃণ্ডদারগণ, জমিদারগণ, বড় বড় রাজকৰ্ম্মচারী, প্রতিপত্তিশালী বণিক ও ব্রাহ্মণপণ্ডিতগণ নিমন্ত্রিত হইয় রায়গড়ে আসিয়াছিলেন। প্রেকাশ, প্রায় পাঁচ লক্ষ লোক সমবেত হইয়াছিল। জীজীবাঈ ও রামদাস স্বামী অভিষেক-ক্রিয়ার আগাগোড়াই নব-নিৰ্ম্মিত রাজদরবারে উপস্থিত থাকিয়া সকলের আদর আপ্যায়ণ করিয়াছিলেন। তখন হইতে মহারাজ শিবাজীর নাম হইল, ক্ষত্রিয়ফুলাবতংস রাজশিৰ ছত্রপতি মহাশয়। শিবাজী নিজেকে সোণ দ্বারা ওজন করাইয়া, সেই সোনা স্বহস্তে ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিতরণ করিয়াছিলেন ; লক্ষ কাঙ্গালীকে ভূরিভোজন করাইয়া,তাহাদিগকে একটি করিয়া টাক, একখানা করিয়া বস্তু দান করিয়াছিলেন । সেদিন শিবাজীর দীর্ঘ জীবন ও অটুট কুখ কামনা করিয়া, রাজ্যের যত হিন্দু, মুসলমান, পার্শী ও খুটাৰু প্ৰজা আপন-আপন ধৰ্ম্ম-মন্দিরে প্রার্থনা করেন। রাজ্যাভিষেকের পরদিন মহাত্মা রামদাস স্বামী সঞ্জনগড়ে নিজ আশ্রমে ফিরিয়া যাইতে প্রস্তুত হইতেছেন, এমন সময় ছত্রপতি শিবাদী আসিয়া হার পায়ের ধূলা লইয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন, "প্ৰভু, আপনাকে ত কিছু প্রণামী দেওয়া হইল ন৷ ” রামদাস হাসিয়া কহিলেন, “একদিন শঙ্ক-কবলগত স্থান