পাতা:মহারাষ্ট্র-নৃপেন্দ্রকুমার বসু.djvu/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বারাষ্ট্র 23 গৃং ইইতে তাড়াইয়া দেন। এক কুম্ভকার সেই আসন্মগ্রসর ত্ৰা-কন্যাকে নিজ গৃহে আশ্রয় দেন। এইখনেই শালবাহনের জন্ম ও বাল্য জীবন-যাপন । শালিবাহন ক্রমশ: বড় হইয়া মহাবলশালী যোদ্ধায় পরিণত হইলেন। উছার বিগ্ল'বুদ্ধি হইল যেমন অগাধ, রাজ্যজুরের ইচ্ছা হইল তেমনি অনন্ত। নৰ্ম্মদ নদীর দক্ষিণস্থ সমস্ত রাঙ্গাঙ্কে পরাস্ত করিয়া, তিনি দক্ষিণে গোদাবরী নদী পর্যন্ত আপন আধিপত্য বিস্তার করেন। শালিমাহন ঐতিস্থানে উহার রাজধানী স্থাপন করেন! ইহাকেই গ্রীক পেরিপেলাস্পাইখাৰু নার বলিয়। উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। পশ্চিমে গোদাবরীর তীরে এখনও পৈখন বলিয়া একটি ক্ষুদ্র না দেখা যায়। তিনি সূর্যৰূপী লাঞ্ছনীর নামক স্থানের অধিপতিকে রাজচ্যুত করেন এবং উiার পরিবারের সরল স্থাপুরুষকে নিৰ্ম্মমভাবে ছড়া করেন। কেবল একটিমাত্র গর্তী মহিলা সাতপুৱা পৰ্ব্বাত্তর এক দুৰ্গম স্থানে গিয়া কোন ষ্টীলের কুটিরে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিলেন। উহার গর্তে যে সস্থান জন্মে, জ্ঞাহীরই পরপুরুষগণ নাকি চিতোর ও উদয়পুরের বিখ্যাঃ য়াণাংশের প্রতিষ্ঠা করেন। শনিবাহন মালবরাক বিক্রজিতের সহিও বহুদিন ধরিয়া যুদ্ধ করিয়ছিলেন। পরে সন্মানজনক সর্বে উভয়ের মধ্যে সন্ধি হয় । খৃঃ পূঃ ৭৮ সালে শালিবাহন এক মূল তত্ব প্রচলিত করেন। ঠিক ঐ সালেই উত্তর ভারতে কুশান থলীয় নৃপতি দ্বিতীয় ক্যাভূফাইসে" এর স্তম্ভিষেক-সময়ে শকাবও প্রচলিত হয় }