পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন-চরিত । ছিল না । একবার তিনি অনুতপ্ত হৃদয়ে প্রিয়সুহৃদ গেীরদাস বাবুকে লিখিয়াছিলেন, “দেখ আমি ঋষিতুল্য ছিলাম, আমার কি অধঃপতন CC” (you see from an anchorite and monk I am becoming a decided rake"); five fift fre sec (RSরের ন্যায় কোন মঙ্গলাকাঙ্ক্ষী সুহৃদ, তাহার রক্ষার জন্য, আবির্ভূত হইলেন না । সুনীতির পিচ্ছিল বক্সের অব্যবহিত পার্থেই দুনীতির অতলস্পর্শ গহবর ; মধ্যে আর কিছুই নাই। একবার পদস্থলন হইলে, কেহ আকর্ষণ করিয়া না। রাখিলে, আর রক্ষা হয় না। কিন্তু পতনোমুখ মধুসুন্দনকে, কেশে ধরিয়া, আকর্ষণ করিয়া, রাখিতে পারেন, এমন কেহই ছিলেন না। মধুসুদন ভালবাসিয়া পরকে আপনার করিতে পারিতেন, কিন্তু আপনাকে পরের হস্তে সমৰ্পণ করিতে জানিতেন না । পিতা হউন, মাতা হউন, শিক্ষক হউন, বন্ধু হউন, নিজের ইচ্ছা অপর কাহারও ইচ্ছায় বিসর্জন দিবার শিক্ষা তাহার হয় নাই; সুতরাং ত্যাহার উপর কাহারও অধিকার ছিল না । এই অধিকারের অভাবে কেহ তাহাকে রক্ষা করিতে সমর্থ হইলেন না । হতভাগ্য কবি, চিরজীবনের জন্য, দুনীতির নিবিড় অন্ধকারময় গহবরে নিপতিত হইলেন । অধ্যয়নাবস্থায় মধুসূদনের চরিত্রে যে সমস্ত দোষ, গুণ পরিস্ফুট হইয়াছিল, আমরা একে একে তাহার সকলগুলিরই আলোচনা করিয়াছি। র্তাহার অধ্যয়নশীলতা, সাহিত্যানুরাগ, প্ৰেম-প্রবণতা, বিলাসিত, উচ্ছজ্বলতা সমুদায়ই উল্লিখিত হষ্টিয়াছে। কিন্তু যে শিক্ষা তাহাকে “কবি মধুসুদন” করিয়াছিল, তাহার উল্লেখ করা হয় নাই। কবি-শক্তি মনুষ্যের প্রকৃতি-প্রদত্ত গুণ ; সুতরাং হিন্দু কলেজের শিক্ষায় মধুসুদন যে কবিশক্তি লাভ করিয়াছিলেন, তাহা নয়। তবে হিন্দু কলেজীয় শিক্ষা হইতে র্তাহার প্রকৃতি-দত্ত শক্তি যে মূৰ্ত্তিলাভের অনুকুল সুযোগ প্রাপ্ত হইয়া ছিল, তাহাতে বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ নাই। রামগোপাল ঘোষের রাজনৈতিক