পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOR औदन-रुक्षेिऊ । শব্দালঙ্কারের প্রাবল্য ঘটয়াছে। আমরা যতদূর অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিয়াছি, তাহাতে এইরূপ দুই একটী কবিতা ভিন্ন মধুসূদন ছাত্রাবস্থায় বাঙ্গালী ভাষায় আর কিছু রচনা করেন নাই। তঁহার সমকালবর্তী অন্যান্য অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিব্য ন্যায় তিনিও মনে কবিতেন, ইংরাজী সাহিত্যের অনুশীলন ও ইংরাজী ভাষায় গ্ৰন্থ রচনা দ্বারাই তিনি যশ ও প্ৰতিপত্তি লাভ করিতে পরিবেন । বাঙ্গালা ভাষা সম্বন্ধে কখন কোন প্ৰসঙ্গ হইলে তিনি অবজ্ঞাব সহিত বলিতেন, “বাঙ্গালা ভাষা ভুলিয়া যাওয়াই ভাল।” মধুসূদনেবও বিশেষ অপরাধ ছিল না। বাঙ্গালা ভাষার তখন যে অবস্থা ছিল, তাহতে পাশ্চাত্য ভাষায় সুশিক্ষিত কোন ব্যক্তির পক্ষে তাহাব অনুশীলন দ্বাৰা তৃপ্তিলাভেব সম্ভাবনা ছিল না । যাহাদিগের চেষ্টায় এক্ষণে বাঙ্গালা ভাষা সমৃদ্ধিমতী হইয়াছেন, তাহদিগের কেহই তখন লেখনী ধারণ কবেন নাই । অন্যের কথা দূরে * থাকুক, বাঙ্গালা ভাষার পিতৃস্থানীয বাবু অক্ষয্যকুমার দত্ত ও বিদ্যাসাগর মহাশয় পৰ্য্যন্ত তখন বাঙ্গালা সাহিত্যে অপরিচিত ছিলেন । কাশীদাস, কৃত্তিবাস প্রভৃতি বাঙ্গালা ভাষাবি যে দুই একজন কবির প্রতি মধুসূদনের অনুরাগ ছিল, তাহাদিগেব কাব্য কলেজে পঠিত হইত না । রামরাম বসু প্ৰণীত “প্ৰতাপাদিত্য-চবিত,” ও মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার প্রণীত “পুরুষপরীক্ষা” প্ৰভৃতি গ্ৰন্থ তখন কলেজের পাঠ্যপুস্তক ছিল । এই সকল পুস্তকের ভাষা যে কি উপাদেয়, তাহা বৰ্ণনা কবিয়া বুঝাইবার সম্ভাবনা নাই । র্যাহারা বেভারেণ্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্কলিত প্ৰবেশিকা-পরীক্ষার বাঙ্গালা পাঠ্যপুস্তক কখনও পাঠ করিয়াছেন, তাহারা কিয়ৎ পরিমাণে তাহা অনুমান করিতে পাবিবেন । সিনিয়ার বৃত্তি পরীক্ষার একখানি প্রশ্নপত্র হইতে কয়েকটা পংক্তি নিয়ে উদ্ধত হইতেছে। সে সময়কার ছাত্রেরা বাঙ্গালা ভাষা আলোচনার কিরূপ সুযোগ প্রাপ্ত হইতেন, এই উদ্ধৃত অংশ হইতে তাহা প্রমাণিত হইবে -