পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 জীবন-চরিত । আরবুখনট কোম্পানীর এজেণ্ট ছিলেন। মান্দ্রাজে, পিতৃমাতৃহীন যুরোপীয় বালক বালিকাদিগের জন্য, যে আশ্রম ছিল, রেবেকা তথায় থাকিয়া অধ্যয়ন করিতেন। মধুসুদন সেই আশ্রমের সংশ্লিষ্ট বালকদিগের বিদ্যালয়ের অন্যতম শিক্ষক ছিলেন । উভয়ের পরিচয় হইলে মধুসূদন কুমারী রেবেকার রূপগুণে আকৃষ্ট হন। অশিক্ষিতা ও অন্তঃপুৱনিবদ্ধ বাঙ্গালি বালিকার অপেক্ষা শিক্ষিতা ও স্বাধীনতায় অভ্যস্ত যুরোপীয় মহিলাকে বিবাহ করিলে সাংসারিক সুখের অধিক সম্ভাবনা, বাল্যাবধি মধুসূদনের এই সংস্কার ছিল। তিনি বলিতেন যে, - “বাঙ্গালির মেয়ে রূপে, গুণে কখনই ইংরাজের মেয়ের শতাংশের একাংশ হইতে পারে না।” যুরোপীয় • মহিলার পাণিগ্রহণ সম্বন্ধে পূর্বে যে প্ৰতিবন্ধক ছিল, খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করাতে তাহা দূৰীভূত হইয়াছিল। সুতরাং, পরিণাম চিন্তু না করিয়াই, মধুসুদন তাহার দীর্ঘকালপালিত সঙ্কল্প কাৰ্য্যে পরিণত করিয়াছিলেন । রেবুেকার আত্মীয়গণ প্ৰথমে এ বিবাহে সন্মত হন নাই ; কিন্তু মধুসূদনের নির্বন্ধতিশয়ে এবং সম্ভবতঃ কন্যার ধৰ্ম্মপিতা ( Godfather ) জৰ্জনক্সটনের * মধ্যবৰ্ত্তিত্বে, অবশেষে, সন্মতিদান করিয়াছিলেন। নর্টন মধ্যবৰ্ত্তী হইয়া মধুসুদনকে বিবাহ দিয়াছিলেন বটে, কিন্তু, তাহাকে সুখী করা নরটনের সাধ্যায়ত্ত ছিল না। আশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিপালন পূর্বক সুখ ও ধৰ্ম্মোপার্জনই বিবাহের উদ্দেশ্য। কিন্তু আশ্ৰম-ধৰ্ম্ম প্ৰতিপালন করিয়া সুখী হইতে হইলে, যে সহিষ্ণুতার, স্বাৰ্থত্যাগের, এবং আত্মসংযমের প্রয়োজন, মধুসূদনের চরিত্রে তাহা ছিল না। আমার hhh সাংসারিক কথা-বিবাহ ।

  • egés rise ategicsi: "49Cejtvis Cojetice” (Advocate General) alr মান্দ্ৰাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন । ইনি”মালদ্রাজের খ্যাতনামা ৰাৱিষ্টার (Eardmy Norton ) ইয়ার্ডলী নরটনের পিতা। মধুসুদন তাহার ক্যাপটিভ লেডী ইহঁর নামে উৎসর্গ করিয়াছিলেন।. নর্টনের মধ্যবৰ্ত্তিত্বে মধুসূদনের বিবাহের কথা ৮ভূদেব মুখোপাধ্যায় মহাশয় আমাকে বলিয়াছিলেন।