পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

双十西悟-@吋可1 NA RV9 কি দারুণ মৰ্ম্মবেদনায় মধুসূদনের প্রাণ অধীর ছিল, এই কয়টা পংক্তি তাহার সাক্ষাদান কবিতেছে। তঁহার নিজের অসংযতচিত্ততা ও উচ্ছঙ্খলতাই যে তাহার অশান্তির প্রধান কারণ, সে কথা বলা অতিরিক্ত। রূপ-বিমুগ্ধ পতঙ্গ, যেমন, পরিণাম কি হইবে চিন্তা না করিয়া, *ीक्षु অগ্নিকুণ্ডে ঝাপ দেয়, পতঙ্গাবৃত্ত মধুসুদনও, তেমনই, “না দেখিয়া না শুনিয়া”, সুখলালসায় অগ্নিকুণ্ডে ঝাঁপ দিয়াছিলেন । মধুসুদন অধীর-বাল্যাবপি আত্ম-সংযমে অনভ্যস্ত ; প্রোমের জন্য, পতঙ্গের ন্যায়, প্ৰাণ আহুতি দিবার শিক্ষা তিনি কখনও প্ৰাপ্ত হন নাই । অগ্নিকুণ্ডে পড়িয়া তিনি দগ্ধদেহে তাহা হইতে বিনির্গত হইয়াছিলেন। শরীরে প্রগাঢ় কলঙ্ককালিমা এবং হৃদয়ে মৰ্ম্মভেদী যন্ত্রণা এই তাহার চির সহচৰ হইয়াছিল। হতভাগা কবি বায়রণের ন্যায় হতভাগা কবি মধুসূদনেরও জীবন অশান্তিময়, কলঙ্কময় কবি-জীবনের প্রকৃষ্ট উদাহরণস্থল । আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, “কাপটিভ লেভী” বচনা করিয়া, মধুৰ সুন্দন মান্দ্রাজের কৃতবিদ্যা সমাজে বিলক্ষণ প্ৰতিপত্তি-লাভ করিয়াছিলেন । জৰ্জনটনের ন্যায় কৃতবিদ ও সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণ র্তাহার কবিতার প্রশংসা করিয়াছিলেন, এবং মাদ্রাজ্যের প্রায় সমস্ত প্ৰধান প্ৰধান সংবাদপত্রে তাহার কাব্যের সুখ্যাতি প্ৰকাশিত হইয়াছিল । আথিানীয়ম পত্রিকার কোন ইংরাজপত্ৰ-প্রেরক, “ক্যাপটিভ লেভীর’ সমালোচনা করিয়া, লিখিয়াছিলেন ; “ইহাতে এমন অনেক স্থান আছে, যাহা বায়ারণ অথবা স্কট নিজের রচনা বলিয়া পরিচয় দিতে কুষ্ঠিত হইতেন a;’ (what I believe neithcr Scott nor Byron would have been ashamed to own ) frCrafts sists ex 35t করিয়া পঞ্চবিংশ বর্ষবয়স্ক একজন যুবকের পক্ষে এরূপ প্ৰশংসা লাভ, অবশ্যই, গৌরবের বিষয়। কিন্তু প্ৰতিভাবান পুরুষগণ যেমন সাধারণের মান্দ্ৰাজে কাপটিভ লোভীর সমাদর ।