পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-९थवांग्ल } SV প্ৰবাসের ফলে বাঙ্গালা ভাষায় তঁহার যৎসামান্য যে জ্ঞান ছিল, তাহাও ক্রমে বিলুপ্তপ্ৰায় হইয়াছিল। বাঙ্গালা ভাষার সহিত পাছে - তাহার সম্বন্ধ লোপ হয়, সেই আশঙ্কায় তিনি কলিকাতা হইতে র্তাহার বাল্যের প্ৰিয়গ্ৰন্থ কাশীদাসী মহাভারত ও কৃত্তিবাসী রামায়ণ আনাইয়া পাঠ করিতেন । কিন্তু বাঙ্গালা দেশে প্ৰত্যাগমন করিয়া তিনি যে আবার মাতৃভাষার অনুশীলন করিতে পারিবেন, ইহা তাহার নিকট দুরাশা বলিয়া প্ৰতীয়মান হইয়াছিল। ঘটনাক্ৰমে কতকগুলি কারণে মধুসূদনের মান্দ্ৰাজত্যাগ আনিবাৰ্যা হইয়া উঠিল । তিনি বঙ্গদেশে প্ৰত্যাগমন করিতে বাধ্য হইলেন ; তাহার ভাবী জীবনের পথও সেই সঙ্গে পরিষ্কৃত হইল। মধুসূদনের মান্দ্ৰাজ গমনের তিন বৎসর পরে তঁহার মাতৃবিয়োগ হয়। মৃত্যুর সময় মধুসূদনের সঙ্গে তাহার মাতার সাক্ষাৎ হয় নাই। মাতার মৃত্যুর চারি বৎসর পরে মধুসূদনের পিতাও পরলোক গমন করেন। মধুসুদন সে সংবাদ অবগত হন নাই । তাহার আত্মীয়, BBuDDDBDDBDSBD DBD DBS BDB DDSDDBDL DDDBB BBBY লইতেন না। মধুসুদন পরলোক গমন করিয়াছেন, এই বিশ্বাসে তাঁহাদিগের মধ্যে কেহ, কেহ মধূসূদনের পিতার পরিত্যক্ত সম্পত্তি অধিকার করিয়া বসিয়াছিলেন। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করিয়া মধুসুদন পূৰ্ব্ব হইতেই আত্মীয়, বন্ধুগণের স্নেহ হইতে বিচুত হইয়াছিলেন ; তাহার উপর আট বৎসর ব্যাপী প্ৰবাসের ফলে এমনই ঘটিয়াছিল যে, তাহার পিতৃগৃহে তাহার জন্য দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিবার লোক কেহ ছিলেন না । স্বদেশে, বিদেশে সকলেই তঁহার কথা ভুলিয়া আসিতেছিলেন ; কেবল একজনের নিকট তাহার স্মৃতি, সমভাবেই, জাগরূক ছিল। তাহার প্রিয়-সুহৃদ গেীরদাস বাবু তাহার কথা ভুলিতে পারেন নাই। তিনি পূর্বেরই ন্যায় সস্নেহে মধুসুদনকে পত্র লিখিতেন, এবং তাহার সাংসারিক অবস্থার অনুসন্ধান সাংসারিক অবস্থা ; মান্দ্ৰাজ उाiी ।