পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बांछांक्षा जांड्श्डि डलश् । Sህ”እ প্রত্যাগমনের পূর্বেই বিদ্যাসাগরমহাশয়ের বেতালপঞ্চবিংশতি, জীবনচরিত ও শকুন্তলা প্ৰভৃতি গ্ৰন্থ, প্ৰকাশিত হইয়াছিল ; এবং মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুরের যত্নে ও বাবু অক্ষয়কুমারের প্রতিভাগুণে তত্ত্ববোধিনী তখন বঙ্গসাহিত্যে এক নুতন যুগের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিল। বাঙ্গালা ভাষায় ষে ওজস্বী, গম্ভীর রচনা হইতে পারে এবং সাহিত্য, বিজ্ঞান, ধৰ্ম্মনীতি প্ৰভৃতি যে কোন বিষয়ই যে, ইংরাজী ভাষার ন্যায়, বাঙ্গালা ভাষাতেও আলোচিত হইতে পারে, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা, তখন, তাহা শিক্ষিত ব্যক্তিগণের নিকট প্ৰতিপাদনা করিয়াছিল । বিদ্যাসাগর মহাশয়ের এবং অক্ষয় বাবুর রচনা হইতে ইংরাজী শিক্ষিত সম্প্রদায় তখন বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, তাহাদিগের মাতৃভাষা অনাদরের সামগ্রী নয় ; ক্ষমতাবান লেখকের হস্তে তাহা অসাধারণ শক্তি বিকাশ করিতে সক্ষম । ইংরাজীশিক্ষিত সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠিত সভা, সমিতির কাৰ্য্য ইংরাজীতে নিম্পন্ন হওয়া যেন অবশ্য কৰ্ত্তব্য বলিয়া পূর্বে অনেকের ধারণা ছিল ; বাবু অক্ষয়কুমার দত্ত সে সংস্কারেরও উচ্ছেদ করিয়াছিলেন। ডেভিড় হেয়ারের স্মরণার্থ সভা ইংরাজী শিক্ষিত সম্প্রদায্যেরই উদেযাগে প্ৰতিষ্ঠিত হইয়াছিল । ইহার তৃতীয় সাম্বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে অক্ষয় বাবু বাঙ্গালা ভাষাতে একটা বক্তৃতা করিয়াছিলেন। ইংরাজী শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের সভায়, বোধ হয়, ইহার পূর্বে কখনও বাঙ্গালা ভাষায় বক্তৃত হয় নাই। অক্ষয় বাবুর বক্তৃতা হইতে, যেন, এক নুতন যুগের সূত্রপাত হইয়াছিল। যে সকল ইংরাজী শিক্ষিত ব্যক্তি, এতদিন, বাঙ্গালা ভাষাকে “বর্বরের ভাষা” ৰলিয়া মনে করিতেন, এবং র্যাহাদিগের বিশ্বাস ছিল যে, বাঙ্গালা ভাষা, শিশুর ও মূর্থের হৃদয়ের অ্যাব বিকাশের উপযোগী হইলেও, সুশিক্ষিতের চিন্তা প্ৰকাশের উপযোগী নয় ; অক্ষয় বাবুৱে তেজস্বিনী ভাষা হইতে র্তাহারা আপনাদিগের ভ্ৰম বুঝিতে পারিয়াছিলেন। তৎকালপ্ৰসিদ্ধ পত্রিকা ইণ্ডিয়ান-ফিল্ডের সম্পাদক, খ্যাতনামা বাবু কিশোরীচাঁদ