পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8R জীবন-চরিত । “নিশাকারোয় নিৰ্ম্মল কিরণে এ উপবনের কি অপরাপ শোভা হয়েছে। যেমন কোন পরমসুন্দরী নবযৌবন কামিনী বিমল দর্পণে আপনার অনুপম লাবণ্য দর্শন করে পুলকিত হয়, অদ্য সেইরূপ প্ৰকৃতিও ঐ স্বচ্ছ সরোবর-সলিলে নিজ শোভা প্ৰতিবিম্বিত দেখে প্ৰফুল্পিত হয়েছে। নানা শব্দপূর্ণ ধারণী এ সময়ে যেন তপোমগ্ন তপস্বিনীর ন্যায় মৌনব্ৰত DBDDBDDBDBD BBSYDS SBT HY BYYLDDD SDBB DDB SD DD BSY পল্লব হতে পল্লবাস্তরে শোভিত হচ্যে। হে বিধাতঃ, তোমার এই বিপুল সৃষ্টিতে মনুষ্যজাতি ভিন্ন সকলেই সুখী ।” বাঙ্গালা ভাষায় বর্ণজ্ঞান-শূন্য মধুসুদন, তাদৃশ অল্প কালের মধ্যে, তাহাতে কিরূপে ঈদৃশ অধিকার লাভ কবিয়াছিলেন, তাহা চিন্তা করিলে আমাদিগের বিস্ময় জন্মে। যেরূপ উপায়ে তিনি এই অধিকার লাভ করিয়াছিলেন, তাহ আবার আরও অধিক বিস্ময়জনক । BBB DDB BDDB D DBDBBD DDDB KBDDLDB DBBB DDD D S এক একটি শব্দের জন্য র্তাহাকে, অনেক সময়, আপনার সংস্কৃত-শিক্ষকের আশ্ৰয় গ্ৰহণ করিতে হইত। তিনি সংস্কৃত-শিক্ষককে অভিপ্ৰেত শব্দের বাচক কতকগুলি শব্দ বলিয়া যাইতে বলিতেন । শিক্ষক মহাশয় সেই-- রূপ করিলে তিনি সেই সকল শব্দের মধ্য হইতে আপনার ইচ্ছানুরূপ কোন একটি শব্দ নির্বাচন করিয়া লইতেন । এরূপ অবস্থায় রচনা বিশুদ্ধ অথবা প্ৰাঞ্জল হওয়া কখনই সম্ভব নয়। র্তাহার তিলোত্তমাসম্ভবে ও মেঘনাদবধে যে অনেক অপ্ৰযুক্ত, রূঢ়াৰ্থ শব্দের ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়, ইহাই তাহার প্রধান কারণ। কিন্তু এই সকল অসুবিধা সত্বেও, মধুসুদন তাহার শৰ্ম্মিষ্ঠায় যেরূপ রচনা-পারিপাট্য ও ভাষালালিত্য প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তাহা তাহার সমকালীন, ইংরাজী শিক্ষিত যে কোন লেখকের পক্ষেই গৌরবকর। মহাভারতীয় ঘটনা সম্বন্ধে মধুসুদন তাহার অন্যান্য গ্রন্থে, সাধারণতঃ, কাশীরাম দাসেরই অনুসরণ করিয়াছেন ; কিন্তু শৰ্ম্মিষ্ঠায় উল্লিখিত বিষয় গুলি মূল মহাভারতেরই অনুরূপ। স্বৰ্গীয় কালীপ্রসন্ন সিংহ