পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भछेि ७ अंग्रांवर्डी 5नां । RtE হচ্চেন রাজার মেয়ে, আপনার কাছে মুখ খুলতে আমার ভয় হয় ।” সরলা পদ্মাবতী তখন বলিলেন, “কোন রাজকন্যারা কি রাক্ষসী ? তারাও ত তোমাদের মত মানুষ বৈ তা নয়।” রতিদেবী, পদ্মাবতীকে যে সকল চিত্ৰপট দেখাইতে লইয়া গিয়াছিলেন, তাহার মধ্যে এক খানিতে অশোকবনস্থিত সীতাদেবীর চিত্র অঙ্কিত ছিল । মেঘমালার মধ্যস্থিত সৌদামিনীর ন্যায় রাক্ষসী পরিবেষ্টিতা সীতাদেবী অশোকবন আলোকিত করিয়াছিলেন । সমীপবৰ্ত্তী একটি বৃক্ষশাখায় উপবিষ্ট হনুমানের নয়ন হইতে র্তাহাব অবস্থা দর্শনে আবিরল অশ্রদ্ধারা পতিত হইতেছিল ৷ চিত্রে এইরূপ অঙ্কিত ছিল । সরলাবালার হৃদয় সে দৃশ্যে বিগলিত হইল। পদ্মাবতী অশ্রুপূর্ণ নয়নে সখীকে বলিলেন ; “সখি, এসকল ত্ৰেতা যুগেৰ কথা, তবু এখনও মনে হলে হৃদয় বিদীর্ণ হয়।” এইরূপ যেখানেই মধুসূদন পদ্মাবতীকে অবতারিত করিয়াছেন, সেখানেই তাহার সরলতার ও মাধুৰ ৰ্য্যের পরিচয় দিয়াছেন । রাজা ইন্দ্ৰনীলেব সঙ্গে পদ্মাবতীর বিবাহেব পর যখন কলিদেবের প্ররোচনায় উত্তেজিত রাজগণ বিদৰ্ভনগৰ অবরোধ করিল, তখন পদ্মাবতী আকুল হৃদয়ে সখীকে বলিলেন ;- “সখি, আমার মত হতভাগিনী কি দুটি আছে ? দেখ, প্ৰাণেশ্বব আমার জন্য কি ক্লেশই না পেলেন । আর এই যে একটা ভয়ঙ্কর সমব আরম্ভ হয়েছে, যদি ভগবতী। পাৰ্ব্বতীর চরণপ্ৰসাদে এ হতে আমরা নিস্তার পাই, তবুও যে কত পতিহীনা স্ত্রী, কত পুত্ৰহীন জননী, কত যে লোক আমার নাম শুনলেই শোকানলে দগ্ধ হয়ে, আমাকে কত অভিসম্পাত দেবে, তা কে বলতে পারে ? হে বিধাতঃ । তুমি আমার অদৃষ্ট যে সুখভোগ লেখ নাই, আমি তার নিমিত্তে তোমায় তিরস্কার করি না ; তুমি আমাকে অন্যের সুখনাশিনী কল্যে কেন ? কোমলহৃদয়া বালিকার অতি মনোহর চিত্ৰ ! কোমলতা ও করুণ ব্যতীত পদ্মাবতীর চরিত্রে আর কোন উল্লেখযোগ্য গুণ নাই।