Nuwe VT | 40 যন্ত্রণানিপীড়িত রাক্ষসরাজের অবস্থা সম্যক, পরিস্ফুট করিতে সক্ষম হইয়াছেন । পুত্ৰশোক-কাতরা চিত্রাঙ্গদা-দেবী অন্তঃপুরে প্রস্থান করিলে শোকে ও অভিমানে উত্তেজিত রাক্ষসরাজ রণসজ্জার আদেশ প্ৰদান করিলেন । বীরপুত্ৰধাত্রী লঙ্কাপুৰী বীর শুন্য হইয়াছিল ; লঙ্কেশ্বব নিজেই “যুদ্ধে গমন করিতে সঙ্কল্প করিলেন । কবি এই স্থলে রাক্ষসবীরগণের যুদ্ধ-সজ্জার অতি সুন্দর বিবরণ প্ৰদান করিয়াছেন ; এবং সেই সঙ্গে, এক অভিনব দৃশ্যের প্রবর্তন করিয়া, নিজের উদ্ভাবনী শক্তির পরিচয় দিয়াছেন । রাক্ষস-বীরগণের পদভরে লঙ্কাপুৰী বিকম্পিত হওয়াতে অসহিষ্ণু জলনিধি গর্জন করিয়া উঠিলেন এবং তঁাহার তরঙ্গাভিঘাতে জলাধিষ্ঠাত্রী বারুণীদেবীর মুক্তাময়ী গৃহচ্যুড়া পুনঃপুনঃ বিকম্পিত হইতে লাগিল । তিনি অকস্মাৎ এইরূপ উপপ্লবের কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া লঙ্কেশ্বরের সমর-সজ্জার বিষয় অবগত হইলেন এবং যুদ্ধের বৃত্তান্ত অবগত হইবার জন্য আপনার সখী মুরলাকে লঙ্কাপুরীর অধিষ্ঠাত্রী লক্ষ্মীদেবীর নিকট প্রেরণ করিলেন । মেঘনাদবধের এই বারুণী-চরিত্র হিন্দুপুরাণানুমোদিত নহে। হোমরের থেটিস (Thetis) হইতে মিণ্টন র্তাহার কোমসের (Comus ) স্তাব্ৰিনার ( Sabrina) আদর্শ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। মধুসূদনের বারুণী-চরিত্র এই স্তাব্রিনা হইতে কল্পিত । সমুদ্রের সঙ্গে সমরপ্রিয় বায়ুদলের যুদ্ধ এবং বায়ুৱাজ deastă fiii se aicia Aeolus and Winds zece কল্পিত হইয়াছে । মুরলা নামটী কবি, সম্ভবতঃ, উত্তররামুচরিত হইতে গ্ৰহণ করিয়াছেন। লঙ্কাপুরীর ঐশ্বৰ্য্য এবং যুদ্ধগামী'রক্ষসৈন্যগণের রণসজ্জা মুৱলার ও রাজলক্ষ্মীর কথোপকথনে অতি সুন্দর রূপ বিবৃত হইয়াছে। মুরলা, রণসজ্জায় সজ্জিত বীরগণের মধ্যে মেঘ রাক্ষসরাজের রণসজ্জা । বারুণী-চরিত্র।
