পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘনাদবধ-কাব্য । w যিনি স্বয়ং তপশ্চারিণীগণের অগ্রগণ্যা এবং জগতে সহধৰ্ম্মিণী নামের আদর্শস্বরূপ, তাহার চরিত্র এরূপ ভাবে মেঘনাদবধে কুমায় সম্ভবের আদর্শ হইতে বিচূতি। চিত্রিত করা মধুসূদনের পক্ষে সঙ্গত হয় নাই। গ্ৰীক পুরাণের জুপিটার ও জুনোকে আদর্শ করিতে যাইয়াই তিনি এরূপ ভ্ৰমে পতিত হইয়াছেন । যাহা হউক, গ্রীকদেবী জুনোর ন্যায়, পাৰ্ব্বতীরও অভিলাষ সিদ্ধ হইল । মহাদেব প্ৰসন্ন হইয়া, দেবরাজকে ইন্দ্ৰজিতের বধের জন্য, রুদ্র তেজে নিৰ্ম্মিত অন্ত্র, শািন্ত্র প্রেরণের আদেশ দান করিলেন । গন্ধৰ্বরাজ চিত্ররথ, দেবেন্দ্রের আদেশে, লক্ষ্মণকে সেই সকল অস্ত্ৰ প্ৰদান করিয়া আসিলেন । এইখানে দ্বিতীয় সৰ্গ সমাপ্ত হইয়াছে । কল্পনাচ্ছিটায় ও বর্ণনাগুণে মেঘনাদবধের এই সর্গ অপরাপর সর্গ অপেক্ষা নিকৃষ্ট নয়। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে কবি, নানাদেশীয় মহাকাব্য সমূহ হইতে উপাদানসংগ্ৰহ করিয়া, ইহা রচনা করিয়াছিলেন, তাহার সে উদ্দেশ্য সার্থক হয় নাই । “শৈব কুলোত্তম” রাক্ষসরাজের পুত্ৰকে নিহত করিতে হইলে, অবশ্যই, মহাদেবের অনুগ্রহ লাভ আবশ্যক ; কিন্তু দেবেন্দ্রের মায়াদেবীর নিকট গমন, অস্ত্ৰলাভ, এবং চিত্ররথের দ্বারা সেই সমস্ত অস্ত্রপ্রেরণ প্ৰভৃতি আড়ম্বরপুর্ণ বিষয়গুলি নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক হইয়াছে । যে ভাবে লক্ষ্মণ ইন্দ্ৰজিতকে বধ করিয়াছিলেন, তাহাতে রুদ্র-তেজে বিনিৰ্ম্মিত অন্ত্রের প্রয়োজন ছিল না । যুদ্ধের জন্যই দেবানুপ্ৰাণিত অস্ত্রের প্রয়োজন, হত্যার জন্য নহে। লক্ষ্মণকে যখন সেরূপ নরহস্তারূপে চিত্রিত করা কবির অভিপ্ৰেতি ছিল, তখন তঁহাকে রুদ্রত্যেজে নিৰ্ম্মিত মহাস্ত্ৰ প্ৰদান না করিলেই ভাল হইত । দ্বিতীয় সর্গের অভিনেতা ও অভিনেত্রী, প্ৰধান দেব, দেবীKLBB DBB BDBBBL uBBD DDuD DBDDBDBD DDD DDD SS DDDDBBD S পাৰ্ব্বতীর বিষয় আমরা পূর্বেই বলিয়াছি; ইন্দ্রের ও লক্ষ্মীদেবীর চরিত্রও নির্দোষ নহে। ইন্দ্রের চরিত্রে কাপুরুষতা এবং লক্ষ্মীদেবীর