পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

U7 জীবন-চরিত তেমনই, ইন্দ্ৰিয়সুখে মুগ্ধ হইয়া, প্ৰমীলার বিহারকাননে অবস্থিতি করিতেছিলেন, কবি প্ৰথমে এইভাবে দ্বিতীয় অঙ্ক রচনা করিবেন বলিয়া স্থির করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহাতে প্ৰমীলাচরিত্রের উৎকর্ষ-হানি হইবে ভাবিয়া পরে তিনি তাহা পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। মধুসূদনের পত্রে পাঠক ইহার উল্লেখ দেখিতে পাইবেন। ট্যাসোর কাব্য হইতে মধুসুদন যদিও র্তাহার প্রমীলা-চরিত্ৰ-নিৰ্ম্মাণে প্ৰণোদিত হইয়াছিলেন, তথাপি ইহার গঠন-প্ৰণালী সম্পূর্ণরূপেই তাহার নিজের। প্ৰমীলা তাহার কল্পনার মৌলিক চিত্র। প্ৰথম সর্গে প্ৰমীলা অশ্রুসিক্ত এবং যুদ্ধগামী পতিকে বিদায়দানে অনিচ্ছাবতী। প্ৰমীলা চরিত্রের এই অংশে কোন নূতনত্ব নাই ; কোমলতাময়ী কুলবধুর পক্ষে যাহা স্বাভাবিক, কবি ইহাতে কেবল তাঁহাই প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন । কিন্তু কুলবধুর কোমলতার সঙ্গে বীরাঙ্গনার শৌর্য্যের সম্মিলনেই প্ৰমীলা-চরিত্রের নূতনত্ব। তৃতীয় সর্গ হইতে, কবি প্ৰমীলা-চরিত্রের এই নূতনত্ব প্রতিপাদনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন। মেঘনাদ বিষাদিনী পত্নীকে “ত্বরায় আমি আসিব ফিরিয়া” বলিয়া যুদ্ধে গমন করিয়াছিলেন, কিন্তু ঊর্তাহার পিতা তঁহাকে সেনাপতি পদে অভিষিক্ত করিলেন ; তিনি আর প্রত্যাগমন - করিতে পারিলেন না । পতির প্রত্যাগমনে বিলম্ব দেখিয়া সাধবী প্ৰমীলার প্রাণ ব্যাকুল হইল । যে যুদ্ধে প্ৰমীলার সহস্ৰ সহস্ৰ আত্মীয় নিহত হইয়াছিলেন, প্ৰমীলার জীবন সর্বস্বও সেই কাল সংগ্রামে গমন করিয়াছিলেন । প্ৰত্যাগমনে বিলম্ব হইলে সাধবীর প্রাণ যে অধীর হইবে, তাহা অসম্ভব নয়। বৃত্ৰসংহারের কবি যথার্থই বলিয়াছেন ; = “পতি যোদ্ধা। যার, उांशब्र अ४द्ध कट gस अडड ७झ : ख्न cम य'अन्म, 巴忙础C开夺”百可 বীর-পত্নী কিসে হয় ।”