পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(भधकांक्ष-कोंद) । & ©ዓ বিন্বিত হইতেছিল, তখনও তাহা ভারতবাসীদিগের আলোচনার বিষয় ছিল । স্ত্রীস্বাধীনতায় অনভ্যন্ত এবং বহু শত বৎসরের পরাধীন জাতির কল্পনা হইতে প্ৰমীলার ন্যায় শূরাঙ্গনার সৃষ্টি যে আকস্মিক কারণে হইতে পারে না, তাহা বুঝাইবার জন্যই আমরা এরূপ বিস্তৃত ভাবে প্ৰমীলাচরিত্রের উৎপত্তি-নির্ণয় করিয়াছি । মধুসূদনের প্রথম কাব্যের নায়িকা, তিলোত্তম, পার্থিব পদার্থসমূহের তিল তিল সমুচ্চয়ে গঠিত হইয়াছিলেন ; তাহার দ্বিতীয় এবং সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট কাব্যের নায়িকাও নানা দেশীয় কবিগণের কল্পনার তিল তিল সমবায়ে গঠিত হইয়াছেন। ট্যাসো, হােমির, ভাৰ্জিল, কাশীরাম দাস এবং রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, প্ৰত্যেকেই, ইহার দেহ-নিৰ্ম্মাণোপযোগী উপকরণ প্ৰদান করিয়াছিলেন। দেবশিল্পীর ন্যায় মধুসুদন, অমৃতময়ী প্ৰতিভার সঞ্চার দ্বারা, তাহার। প্ৰাণদান করিয়াছেন । তিলোত্তম যেমন সুর রমণীগণের মধ্যে অগ্রগণ্য হইয়াছিলেন, প্ৰমীলাও যে তেমনি বীরাঙ্গনগণের শীর্ষস্থানীয়া হইবেন, তাহ বিচিত্র নয় । প্ৰমীলার লঙ্কা-প্ৰবেশ এরূপ বিস্তৃত ও আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে বর্ণনা করিবার কবির উদ্দেশ্য কি, সে সম্বন্ধে দুই একটি কথা বলা আবশ্যক। পাঠকের মনে হইতে পারে যে, “এই উপাখ্যানের সহিত মূল আখ্যানের কোন সম্পর্ক নাই, অথচ এক খানা শরতের মেঘের মত যে অমনি ভাসিয়া গেল, তাহার তাৎপৰ্য্য কি ?” প্ৰমীলার লঙ্কা-প্ৰবেশ-ব্যাপার শরতের মেঘের মত পাঠকের স্মৃতি হইতে ভাসিয়া যায় কি না, তাহা বুঝিবার জন্য তঁহাকে একবার মেঘনাদবধের শেষাঙ্ক আলোচনা করিতে বলি । পাঠক সেই সাগরকুলবর্তী মহাশ্মশানস্থিত চিতা, সেই ফুল কিংশুকপাদপ সদৃশ রক্তাক্ত বীরদেহ, সেই বিশদ-বস্ত্ৰ-বিশদ-উত্তরী-পরিহিত রাক্ষসরাজ এবং সেই অশ্রুসিক্ত-মুখী রক্ষোবালগণের কথা স্মরণ করুন ; थभौव्ला-ब्रेिtएद्ध नार्थकड ।