পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दांळा-औदन ।। SKO করিয়াছিলেন বলিয়া শুনিতে পাওয়া যায়। ইহাদিগের ন্যায় বালক মধুসূদনেও তাঁহার ভবিষ্যৎ জীবনের দুই একটী পূৰ্ব্ব-লক্ষণ লক্ষিত হইয়াছিল। শিশু ঈশ্বরচন্দ্ৰ গুপ্তেব ন্যায়। যদিও তিনি, তিন বৎসর বয়সের * সময়ে, কোন কবিতা রচনা করেন নাঈ', + তথাপি অন্যান্য অনেক বিষয়ে আপনার ভবিষ্যৎ মহন্ত্রেধ নিদর্শন দেখাইয়াছিলেন । অধ্যয়ন)- সক্তি ও কাবানুরাগটু মধুসূদনের চরিত্রেব বিশেষ লক্ষণ । বালা হইতেই এই দুইটী গুণ তাঙ্গার প্রকৃতিতে লক্ষিত হইয়াছিল। সাধারণতঃ ধ্বনিসন্তান দগের, প্রায়ই, লেখা পড়ায় অনুবাগ দৃষ্ট হয় না। তাহার উপর যে সকল বালক গুব জনদিগের নিকট অধিক আদর প্রাপ্ত হয়, তাহার। বিদ্যাশিক্ষা সম্বন্ধে একবারেই অমনোযোগী হষ্টিয়া থাকে । কিন্তু মধুসুদন, ঐশ্বৰ্যশালী পিতার একমাত্ৰ সন্তান, এবং গুৰুজনাদিগেব অত্যধিক আদরের পাত্ৰ হইয়াও, কখনও লেখাপড়ায় ঔদাসীন্য প্ৰদৰ্শন কবেন নাই। বৰ্ত্তমান সময়ের পাঠশালাসমূহ পূৰ্ব্বকালীন পাঠশালাসমূহ হইতে বিভিন্ন। সে সময়কাল পাঠশালা সমূহেব কথা শ্রবণ কৰিলে অনেকেরই হৃৎকম্প জন্মিবে । বেণুদণ্ড ও বেত্ৰখণ্ড তখন ছাত্রপৃষ্ঠে অজস্রধারে বর্ষিত হইত। তস্করকেও যে দণ্ড দেওয়া এখন লে.ক অনুচিত বিবেচনা করেন, ক্ষীবকণ্ঠ বালক দিগকেও তখনকাব গুরুমছ। - শয়ের সে দণ্ড দিতে সঙ্কোচ বোধ করিতেন না | গুৰু মহাশয়ে: বোত্রাঘাতের চিহ্ন শরীরের কোন না কোন অংশে ধারণ না করিয়া লেখা, পড়া শিখিয়াছেন, এরূপ লোকে বা সংখ্যা তখন পল্লীগ্রামে বিরল ছিল । কিন্তু এ অবস্থায়ও মধুসুদন পাঠশালায় যাইবার জন্য আন্তরিক আগ্রহ প্ৰকাশ করিতেন এবং সাধ্যানুসারে কখনও পাঠশালায় উপস্থিত থাকিতে ক্রেটা করিতেন না । প্ৰাতঃকালে পাঠশালাব। ছুটী হইলে, অন্যান্য বালকের ..

  • প্ৰবাদ আছে যে ঈশ্বরচন্দ্ৰ তিন বৎসর বয়সের সময় কবিতায় (বলিয়ছিলেন,-

“রেতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কালকেতায় আছি।”