পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cथनांत्रिश-कोंत7 : V)V) তিনি মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় নিশ্চলভাসে দণ্ড”য়মান রহিলেন, এবং লক্ষ্মণ, সেই অবস্থায়, তাহাকে খড়গাঘাতে ভূতলশায়ী করিলেন । যে দুৰ্জয় দৰ্পে মেঘনাদ রামচন্দ্ৰকে ও লক্ষ্মণকে তৃণবৎ জ্ঞান করিতেন, তাহার অন্তিমকালীন আৰ্ত্তনাদেও তাহা পরিব্যক্তি হষ্টিয়াছে। একদিকে ইলিয়াডের মুমুম্বু বীর হেক্টরের অভিসম্পাত, ও অপরদিকে রামায়ণের মেঘনাদের ভৰ্ত্তসিনা মিলিত করিয়া কবি লক্ষ্মণের ও বিভীষণের প্রতি মেঘনাদের শেষ বাক্যাবলী রচনা করিয়াছেন । অন্তিমে জনক জননীর পাদপদ্ম স্মরণ করিয়া, এবং প্ৰাণপ্ৰিয়া পত্নীর নিকট মানস-বিদায় গ্ৰহণ করিয়া, মেঘনাদ নয়নযুগল মুদিত করিলেন । রাক্ষসরাজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ লঙ্কার পঙ্কজরবি, আকালে অস্তমিত হইল । এইরূপে ইন্দ্ৰজিৎকে বধ বা হত্যা করিয়া লক্ষ্মণ রামচন্দ্রের শিবিরে প্ৰত্যাগমন করিলেন। বর্ণনীয় বিষয় পরিস্ফুট করিবার জন্যই কবিগণ অলঙ্কার প্রয়োগ করিয়া থাকেন। দুৰ্ভাগাক্ৰমে মধুসূদন এস্থলে যে দুইটি উপমা প্ৰয়োগ করিয়াছেন, তাহা দ্বারা লক্ষ্মণ যে প্ৰকৃতই একজন নরহস্তা, তাহা যেন আরও সুস্পষ্ট হইয়াছে । তিনি প্ৰথমেই লক্ষ্মণকে ব্যাস্ত্রীর অবর্তমানে ব্যাস্ত্ৰ-শিশুর প্রাণহন্ত নিষাদের সঙ্গে তুলনা করিয়াছেন, এবং, তাহাতেও যেন পরিতৃপ্ত না হইয়া, শেষ তাহাকে নিদ্রিত পাণ্ডবশিশুদিগের প্রাণহস্তা, ব্ৰহ্মকুলাঙ্গার, কাপুরুষ অশ্বখামার সঙ্গে তুলনা করিয়াছেন। লক্ষ্মণের বীরত্বত এইরূপ ; কিন্তু ইহার পর আমরা শুনিতে পাই, রামচন্দ্র নৃ-ঘাতক ভ্রাতাকে অভিনন্দন কািরয়া বলিতেছেন ; “লভিনু সীতায় আজি তব বাহুবলে হে বাহুবলেন্দ্ৰ, ধন্য বীরকুলে তুমি ; সুমিত্ৰা জননী ধন্য। রঘুকুলনিধি, भछ डि नॉबर्थ, अद्मलांडी उस ;