পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t).9 জীবন-চরিত । তিনি তঁহাকে বালিকার অপেক্ষা দুর্বল করিয়া ফেলিয়াছেন। লক্ষ্মণ অপর সকল স্থলে ভীতিশূন্য, মনুষ্যের কথা দূরে থাকুক, সাক্ষাৎ রুদ্রদেবকেও যুদ্ধার্থ আহবান করিতে ভীত নহেন। কিন্তু প্ৰতিদ্বন্দ্বী মেঘনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মাত্রই তিনি যেন একবারে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় অবসন্ন। মেঘনাদের নিক্ষিপ্ত অস্ত্ৰ, শস্ত্ৰ দূরে থাকুক, শঙ্খ, ঘণ্টা প্রভৃতি পুজোপকরণ হইতে, এমন কি নিরস্ত্ৰ মেঘনাদের করপ্রহার হইতেও, আত্মরক্ষা করিবার তাহার সাধ্য নাই। নায়কের গৌরব বদ্ধিত করিতে হইলে যে, প্ৰতিনায়কেরও গৌরব অক্ষুন্ন রাখিতে হয়, মেঘনাদবধের কবির, বোধ হয়, তাহা স্মরণ হয় নাই । আৰ্য রামায়ণের অনুসরণ করিলে তাহাকে এরূপ ভ্ৰমে পতিত হইতে হইত না ; অর্ষ রামায়ণের লক্ষ্মণ, তস্করের ন্যায় গৃহে প্ৰবেশ করিয়া, নিরস্ত্ৰ শক্রিকে হত্যা করা দূরে থাকুক, ইন্দ্ৰজিত যে র্তাহাদিগের সহিত প্ৰচ্ছন্নভাবে যুদ্ধ করিতেন, তজ্জন্য র্তাহাকে তিরস্কার করিয়া বলিয়াছিলেন ;- অন্তৰ্দ্ধান গতেনাজো যত্ত্বয়া চরিতস্তদা । তস্করাচরিতোমাৰ্গো নৈষবীর নিযেবিতঃ ! যথা বাণীপথং প্রাপ্য স্থিতোহস্মি তব রাক্ষস । DDB BBBBD DDDD D KBDES “তুমি রণক্ষেত্রে অন্তহিত থাকিয়া যাহা করিয়াছ, তাহ তস্করেরই উপযুক্ত, তাহা বীরোচিত নয়। আমিও যেমন তোমার বাণ-মুখে অবস্থান করিতেছি, (সাধ্য থাকে ) তুমিও সেইরূপে স্বতেজ প্ৰদৰ্শন করা ; অনর্থক গৰ্ব্ব করিতেছি কেন ?” রামায়ণে বর্ণিত ইন্দ্ৰজিতের ও লক্ষ্মণের যুদ্ধ বৃত্তান্ত পাঠ করিলে শরীর রোমাঞ্চিত হয় । মেঘনাদবধের অনেক স্থলে মধুসুদন কৃত্তিবাস হইতে উপাদান সংগ্ৰহ করিয়াছেন ; কিন্তু কৃত্তিবাসও লক্ষ্মণকে এরূপ কাপুরুষের ন্যায় চিত্রিত করেন নাই। তিনিও মেঘনাদকে লক্ষ্মণের হন্তে সন্মুখযুদ্ধে