পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BOR জীবন-চরিত । “এতক্ষণে রে লক্ষ্মণ, B R • * এ রণক্ষেত্রে পাইনু কি তোরে নরাধম ? কোথা এবে দেব বীজপাণি ? শিখিধ্বজ শক্তিধর ? রঘুকুলপতি ত্ৰাতা তোর ? কোথা রাজা সুগ্ৰীব ? কে তোরে ब्रक्रिांत •iांभद्ध ख्याख्रि ? q छांगत्र कtळ সুমিত্ৰা জননী তোর, কলাত্ৰ উৰ্ম্মিলা ভাব দোহে। মাংস তোর মাংসাহারী জীবে लित dप्त ; ब्रखtटपांड अविव ६द्धी । কুক্ষণে সাগর পার হইলি, দুৰ্ম্মতি । পশিলি রক্ষসালয়ে চোর বেশ ধরি, হরিলি রাক্ষসরত্ন-অমূল্য জগতে৷” ক্ষত্ৰিয়-বীর লক্ষ্মণেরও প্ৰত্যুত্তর ইহার উপযুক্ত। লক্ষ্মণ পুত্ৰশোককাতর, জিঘাংসু শক্রির তিরস্কারে বলিলেন ;- “ক্ষত্ৰকুলে জন্ম মম, রক্ষকুলপতি, নাহি ডারি যমে আমি ; কেন। ডরাইব তোমায়? আকুল তুমি পুত্ৰশোকে আজি, যথাসাধা করি, রাখি ; আশু নিবারিব শোক তব, প্রেরি তোমা পুত্রবর যথা ।” ইহার পর লক্ষ্মণের সহিত রাক্ষসরাজের যুদ্ধ-বৰ্ণনা পাঠ করিলে লক্ষ্মণ যে, মেঘনাদকে, অক্ষত্ৰিয়বৎ, নিরস্ত্র অবস্থায়, হত্যা করিয়াছিলেন, তাহা আমাদিগের স্মরণ থাকে না। তাহার অনুপম বীরত্বে আমরা মুগ্ধ হই। কিন্তু বীরত্ব, বিক্রম কিছুই আজ লক্ষ্মণকে রক্ষা করিতে পারিল না। দেববলে বলীয়ান রাক্ষসরাজের মহাশক্তির আঘাতে লক্ষ্মণ ভূপতিত হইলেন। মহাদেবের আদেশে, শত্রুর মৃতদেহ পরিত্যাগ করিয়া, রাক্ষসরাজ মহোল্লাসে লঙ্কাপুরীতে প্ৰৰেশ করিলেন ।