পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

809 औदन-ब्रेिड । অবগত হইবার জন্য মনুষ্য-হৃদয়ে স্বভাবতঃ যে আকাজক্ষা উদিত হয়, তাহারই পরিতৃপ্তির জন্য, বোধ হয়, স্বৰ্গ ও নরকের অস্তিত্ব কল্পিত হইয়াছে। স্বৰ্গ পুণ্যবানের পুরস্কারের এবং নরক পাপাচারীর দণ্ডভোগের ক্ষেত্ৰ, এই বিশ্বাসও স্বৰ্গ ও নরক কল্পনার অন্যতম কারণ । কিন্তু মনুষ্যা-সমাজে জ্ঞানের যতই উন্নতি হইতেছে, ততই এইরূপ কল্পনাপ্ৰস্তুত স্বৰ্গ ও নরক সম্বন্ধে লোকের অবিশ্বাস জন্মিতেছে। প্যারাডাইসলষ্টের যে নরক-বৰ্ণনা এক সময় মিল্টনের সমকালবািন্ত্ৰী পণ্ডিতদিগকে ভীত ও বিস্মিত করিয়াছিল, তাহা, এক্ষণে, কেবল, বিদ্যালয়ের বালকদিগের কৌতুক উৎপাদনা করিতেছে। গন্ধকাগ্নিময় অথবা তুষারহ্রদপূৰ্ণ নরকের দিন গত হইয়াগিয়াছে, এক্ষণে অন্য কিছু আবশ্যক । * বৈজ্ঞানিক যুক্তি অনুসারে বিচার করিলে মেঘনাদবধের অষ্টমসর্গ আসার কল্পনামাত্রে পর্যবসিত হইবে ; কিন্তু পাঠককে স্মরণ রাখিতে হইবে যে, মধুসুদন বিজ্ঞান লিখেন নাই, পুরাণানুমোদিত কাব্য লিখিয়াছিলেন। মধুসুদন মেঘনাদবধে স্বৰ্গ ও নরক উভয়ই বর্ণনা করিয়াছেন ; কিন্তু নরক অপেক্ষা স্বৰ্গ-বর্ণনাতেই তিনি অধিক পারদর্শিত প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন। তঁহার স্বৰ্গ, অন্যান্য স্থলেও যেমন, এখানেও তেমনি, কাম্য বস্তু উপভোগের স্থান মাত্র ; নিষ্কাম, ধাৰ্ম্মিক পুরুষের শাস্তির ও উন্নতির ক্ষেত্ৰ নহে। মানবসাধারণের নিকট পৃথিবী ও স্বৰ্গ সকলই উপভোগের স্থল । তাহারা, সেইজন্য, সৰ্ব্বত্র-এমনকি ব্ৰহ্মলোকেও-ইন্দ্ৰিয়-পরিতৃপ্তির সামগ্ৰী অন্বেষণ করেন । ইন্দ্ৰিয়সুখই সাধারণ মানুষ্যের নিকট সুখের পরাকাষ্ঠী। মধুসুদন এই চিরপ্রচলিত ও সৰ্ব্বজনবাপী সংস্কারের অতীত হইতে পারেন নাই ; এইজন্য র্তাহার কল্পিত স্বর্গে উপভোগ মধুসূদনের কল্পিত স্বৰ্গ ও নরক । কথিত আছে যে, কোন খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম थाक्नाब्रक, cड्याङ्वcर्शझ झाप्छ किङ्कङद्दे नन्नकडौडि জন্মিতেছে না দেখিয়া, বলিয়াছিলেন ; “নরক এমন স্থান, যেখানে সংবাদপত্র নাই ।”