পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gaषन्मदा-कद) । SS যখন মেঘনাদবধ কাব্যের উপদেশ е পরিণাম, তখন, রাক্ষসরাজ্যের প্রতি কবির সহানুভূতি সত্ত্বেও, নীতির দিক হইতে বিচার করিলে, ইহার দ্বারা (कॉन अनिश्छेioiडब्र नष्ठावना नांछे । আবার কেহ, কেহ মনে করেন যে, কবি যখন তাহার কাব্যে আর্গ্য্যবংশীয়গণের অপেক্ষা অনাৰ্য্যবংশীয়গণেরই প্ৰতি অধিকতর स्रनारी-द्यौछि ! সহানুভূতি প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তখন ইহা কখনই জাতীয় সমাদরের সামগ্ৰী হইতে পারে না । মেঘনাদবধ জাতীয় সমাদরের সামগ্ৰী হইবে কি না, ভবিষ্যৎবংশীয়গণই তাহার বিচার করিবেন। আমরা কিন্তু মধুসুদনকে, অনাৰ্য্যবংশীয়গণের প্রতি সহানুভূতি প্ৰদৰ্শনের জন্য, নিন্দার পরিবর্তে, বিশেষ প্ৰশংসাই করি। রামায়ণকার মহর্ষি ভারতীয় সমাজের যে যুগে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, তাহার গ্রন্থে তাঁহারই উপযুক্ত ভােব প্ৰতিবিন্বিত হইয়াছিল । তখনও অনাৰ্য্য সমাজের প্রতি আৰ্য-সমাজের প্রগাঢ় বিদ্বেষ ছিল ; বৈদিক ঋষিগণের নিশ্বাসে, নিশ্বাসে অনাৰ্য্যগণের প্রতি যে বিষ উদগীরিত হইয়াছিল, রামায়ণে তাহারই আংশিক অভিব্যক্তি হইয়াছে। মধুসুদন যে যুগে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, তাহার গ্রন্থ তাহারাষ্ট উপযোগী হইয়াছে। এখন আর আর্য্য ও অনাৰ্য্যগণের মধ্যে সেই পুর্ব বিদ্বেষ বা জেতাজিত-ভাব বৰ্ত্তমান নাই । আৰ্য্য ও অনাৰ্য্য, সকলেই এক্ষণে একই শৃঙ্খলে শৃঙ্খলিত। আৰ্য-প্ৰপ্ৰীড়িত বলিয়া বরং অনাৰ্য্যগণের প্রতি এখন লোকের সহানুভূতির উদ্রেক হইতেছে। এ অবস্থায় মধুসূদনের উদ্যম সম্পূর্ণই সময়োপযোগী হইয়াছে ; এবং এই জন্য, বোধ হয়, তিনি ভবিষ্যৎ বংশীয়গণের নিকট অধিক সমাদর লাভ করিবেন। মধুসূদনের বহুদিন পূর্বে বীর চরিতের সহৃদয় কবি ইহার সূচনা করিয়াছিলেন ; বাঙ্গালা ভাষায় মধুসূদনই ইহার পথপ্রদর্শক। র্তাহারই প্ৰমীলার আদর্শে বৃত্ৰসংহারের ও রৈবতকের কবিদ্বয়, তাহাদিগের দৈত্য ও নাগ 8 ዓ