পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 Str জীবন-চরিত <ালাদিগকে সুজন করিয়াছেন । কিন্তু বীরচরিতের কবি, রাক্ষসরাজকে উন্নত করিতে যাইয়া, রামচন্দ্ৰকে অবনতি করেন নাই ; মধুসুদন যে গাহা পাবেন নাই, ইহা অবশ্যই ক্ষোভের বিষয় হইয়াছে । রাক্ষস-পরিা<ারদিগের ন্যায় রামচন্দ্রের ও লক্ষ্মণের চরিত্র সুচিত্রিত হইলে মেঘনাদবধের গৌরব শতগুণ বৰ্দ্ধিত হইত। মহর্ষি একদিক দেখাইয়াছিলেন, মধুসুদন আর একদিক্‌ দেখাইয়াছেন ; কোন ভবিষ্যৎ মহাকবির দ্বারা, বোধ হয়, এই উভয়ের সামঞ্জস্য হইবে । মেঘনাদবধ মহাকাব্য কি খণ্ডকাব্য, তাহার আলোচনা করিয়া সময় ও পরিশ্রম অপব্যয় করা নিষ্পপ্রয়োজন । মধুসুদন নিজে ইহাকে পাশ্চাত্যরীতির মহাকাব্য (Epic) বলিয়া বিবেচনা করিতেন । সংস্কৃত অলঙ্কার-শাস্ত্রের লক্ষণ অনুসারে বিচার করিলে যদিও ইহা মহাকাব্য নামের উপযুক্ত হইবে না ; তথাপি ইহার অনেক স্থল যে মহাকাব্য-লক্ষণাক্রোন্ত, তাহাতে সন্দেহ নাই। যে কাব্য পাঠ করিতে কবিতে আমরা বিস্মিত, স্তম্ভিত, উত্তেজিত ও অশ্রুসিক্ত তই, এবং বর্ণিত বিষয় প্ৰত্যক্ষের ন্যায়। অবলোকন করি, তাহা যদি মহাকাব্য নামে অভিহিত হইবার যোগ্য হয়, তবে মেঘনাদবধ অবশ্যই একখানি মহাকাব্য। ইহাতে মহাকাব্যোচিত প্ৰাকৃতিক দৃশ্য ও সৌন্দৰ্য্য বৰ্ণনারও অভাব নাই । কবি ইহাতে যে উদাম কল্পনা, বৰ্ণনাশক্তি এৰং মোলিকাতা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তাহা মহাকাব্য রচয়িতারই উপযুক্ত । কবিবর হেমচন্দ্ৰ ইহার সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছিলেন, প্ৰত্যেক চিন্তাশীল ব্যক্তি এক্ষণে তাহ অনুমোদন করিতেছেন । মেঘনাদবধ সত্যই বঙ্গভাষার কণ্ঠভূষণৰূপে আদৃত হইয়াছে। হেমচন্দ্ৰ লিখিয়ছিলেন ;- মেঘনাদবধ কোন শ্রেণীর কাবা? “যে গ্রন্থে স্বৰ্গ, মৰ্ত্ত, পাতাল, ত্ৰিভুবনের রমণীয় ও ভয়াবহ প্ৰাণী ও পদার্থ সমূহ, সম্মিলিত করিয়া, পাঠকের ཀ་ན་ནི་ལྟག་ཀ་ DDDuDBD D DBB BDS SDB sZ