পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOO छौयम-5ब्रिड । বিহগের সঙ্গীত শ্রবণ করিলে রাধিকার মনে হইত, তেঁাহার প্ৰিয়তম নিশ্চয়ই বৃন্দাবনে পদার্পণ করিয়াছেন, তাই বিহঙ্গমগণ এত আনন্দ-ধ্বনি করতেছে । সুগন্ধ সমীরণ সেবন করিলে তিনি মনে করিতেন, তঁহার প্রিয়তমেরই দেহ সংস্পর্শে তাহা সুরভিত হইয়াছে। যমুনার কল কল শব্দে তিনি ভাবিতেন যে তাঁহার প্রিয়তমের সন্দর্শনে প্ৰফুল্লিতা যমুনা অস্ফুট ভাষায় তাহাকে আহবান করিতেছে। যমুনার নিৰ্ম্মল হৃদয়ে চন্দ্ররশ্মির ক্রীড়া দেখিয়া তিনি মনে করিতেন যে, তাহ চন্দ্ৰলোক নয়, তঁহারই প্রিয়তমের হাস্য যমুনা-সলিলে প্ৰতিবিন্বিত হইতেছে । মিলনে প্ৰিয়তম। কেবল এক মাত্ৰ ; বিরহে বিশ্বসংসার তন্ময় হইয়া যায় । বিরহে র্যাহার নিকট জগতের স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকে না, ভালবাসার সামগ্ৰীতেই জগৎ অভিন্ন হইয়া যায়, তিনিই প্ৰকৃত প্রেমিক। আকাশের নীলিমায়, কুসুমের কোমলতায়, সরসীর হিল্লোলে, নদীর কল কলে, ভ্ৰমরের ঝঙ্কারে, কোকিলেব কুহুস্বরে, চন্দ্রের কিরণে, উষার সমীরণে, যে প্রিয়তমকে দর্শন করিতে ? তাহার সান্নিধ্য উপলব্ধি করিতে না। পারে, তাহার প্ৰেম-প্ৰেম নয়-ইন্দ্ৰিয়বিকার মাত্র । যিনি কখন ভাল বাসিয়াছেন, তাহার ভালবাসার সামগ্ৰী তাহার নিকট হইতে দুরে যাইতে পারে না । জাগ্ৰতাবস্থাতেও যেমন, স্বপ্নেও তেমনই, সম্মুখেও যেমন, অন্তরালে ? তেমনই, প্রেমিকের হৃদয় প্ৰেমাস্পদের সত্বায় পূর্ণ হইয়া থাকে ;-বাহিরে যে প্ৰাণময়, তাহাকে হারাইবার সম্ভাবনা কোথায় ? রাধিক। তাই, উচ্ছাসভরে, সখীকে ডাকিয়া বলিতেন ; “স্বন, স্বন, স্বনে শুন, বহিছে পবন সই, १श्न कानन । হেরি শ্যামে পাই প্ৰীত, १itश्gिछ भचल-ीठ বিহঙ্গম গণে ।