পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকুমারী নাটক । 8òዋ‛ মেঘ সনে সৌদামিনী- সম রূপে, লে। ক্যামিনি, বলে পীত ধড়া রূপে ঝল ঝল ঝলে । হ্রদে কুমুদিনী এবে প্ৰফুল্প লালনে, डत ऊांभ-धी ऊनि শোভিছে নিকুঞ্জে হাসি, কেনে মৌনব্ৰতে তুমি শূন্য নিকেতনে। দেব, দৈত্য মিলি বলে মথিলা সাগর-জলে যে সুধার লোভে তাহা লভিবে সুন্দরি ; সুধামাখা বিস্বাধরে, আছে সুধা তব তরে, যাও নিতস্বিনি, তুমি অবিলম্বে বনে। এক দিকে ব্ৰজাঙ্গনার এই সুমধুর বংশীধ্বনি এবং অপর দিকে মেঘনাদবধের গম্ভীর ভেরীনিনাদ, সমকালীন, শ্রবণ করিলে মোহিত ও বিস্মিত হইতে হয় । ইহার সঙ্গে কুমারী কৃষ্ণার মৰ্ম্মভেদী বিষাদোচ্ছাসও কবির লেখনী দ্বারা অভিব্যক্ত হইয়াছিল। করুণ-রাসের উদ্দীপনে মধুসুদন কিরূপ নিপুণ ছিলেন, মেঘনাদবধ হইতে পাঠক তাহ অবগত হইয়াছেন । কৃষ্ণকুমারী নাটকে ও র্তাহার এই ককণরসোদ্দীপন শক্তির পরিচয় প্ৰাপ্ত হওয়া যাইতে পারে। শৰ্ম্মিষ্ঠ রচনার সময় মধুসুদন বঙ্গসাহিত্যে অপরিাচিত ছিলেন, কিন্তু কৃষ্ণকুমারী বচনার সময় তাহার নাম বঙ্গভাষানুরাগী ব্যক্তি মাত্রেরই পরিচিত হইয়াছিল। নিজের শক্তি ও সামর্থ্য সম্বন্ধেও র্তাহার নিজের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিয়াছিল। প্রাচীন রীতির অনুসরণ না করিলে তঁাহার নাটক “নাটকই হইবে না।” এইরূপ সগৰ্ব্ব বাক্যে কেহ তখন তঁহাকে ভীতি-প্ৰদৰ্শনে সাহস করিতেন না। প্ৰাচীন রীতি পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক অভিনব রীতিতে নাটক রচনার অভিলাষ পূর্বেই তাহার হৃদয়ে উদিত হইয়াছিল। কৃষ্ণকুমারী নাটকে তিনি তাহা চরিতাৰ্থ করিয়াছেন। কৃষ্ণকুমারীর বর্ণনীয় বিষয় ও দোষ, গুণ উল্লেখের পূর্বে যেরূপ কৃষ্ণকুমারী নাটক ।