পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

388 জীবন-চরিত। করিয়া রচনা করিয়াছেন। মহারাণা প্ৰতাপ সিংহের বংশধর, উদয়পুৱাধিপতি মহারাজা ভীমসিংহের দুহিত কৃষ্ণকুমারীর বিষাদময় জীবনের আখ্যায়িকা, কৃষ্ণকুমারী নাটকের বর্ণনীয় বিষয় । সীতা ও দময়ন্তী যে ংশের কুলবধূ, কৃষ্ণকুমারী সেই পবিত্ৰ সূৰ্য্যবংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন ; লোকে তঁহাকে আদর করিয়া, রাজস্থানের কুসুম বলিয়া ডাকিত । কৃষ্ণকুমারীর রূপ গুণে মোহিত হইয়া জয়পুরের অধীশ্বর, লম্পটMOBB BDD DtDBBBDDBDSBgSD DBBYBBD DBBDD DD DBBD DDDB পাণিপ্ৰাৰ্থী হন, এবং উভয়েই প্ৰতিজ্ঞা করেন যে, কৃষ্ণকুমারীকে প্ৰাপ্ত না হইলে, উদয়পুর ধ্বংস করিবেন । কৃষ্ণকুমারীর পিতা বাজা ভীমসিংহের অবস্থা তখন এরূপ শোচনীয় হইয়াছিল যে, প্ৰবল প্ৰতিদ্বন্দ্বীদিগের হস্ত হইতে রাজ্যবেক্ষা করিবার তাহার সামৰ্থ্য ছিল না। কৃষ্ণকুমারীই সকল অশান্তির মূল, স্থির করিয়া, তিনি কৃষ্ণকুমারীকে হত্যার জন্য আদেশ দান করেন। চারুশীলা কৃষ্ণা, বংশের মৰ্য্যাদা’ বাক্ষার জন্য, বিষপান করিয়া প্ৰাণত্যাগ করেন । সংক্ষেপে ইহাই কৃষ্ণকুমারীর ঐতিহাসিক কথা । মধুসুদন, ইতিহাসের সামান্য পরিবর্তন করিয়া, কৃষ্ণকুমারীর মৃত্যু খড়গাঘাত দ্বারা ঘটিয়াছিল, এইরূপ বর্ণন করিয়াছেন। মধুসূদনের নাটক সমূহের মধ্যে কৃষ্ণকুমারীই সর্বোৎকৃষ্ট । চরিত্র-চিত্ৰণ সম্বন্ধে তিনি ইহাতে যেরূপ দক্ষতা প্ৰদৰ্শন করিয়াছেন, তাহার অপর কোন নাটকে সেরূপ দেখাইতে পারেন নাই । অন্যান্য নাটকীয় পাত্রের অপেক্ষা উদয়পুরেব রাজপরিবারবর্গের চরিত্র চিত্ৰণেই তঁাহার দক্ষতা সমধিক প্ৰকাশিত হইয়াছে। কৃষ্ণকুমারীর দ্বিতীয় অঙ্ক হইতে আমরা উদয়পুরের রাজপরিবারগণের সাক্ষাৎকার লাভ করি। রাজগৃহ বিষাদময়, রাজা ভীমসিংহের প্রাণ অশান্তিতে পূর্ণ, রাজকোষ উৎকোচ-প্ৰদানে একেবারেই শূন্য, দুৰ্দ্ধান্ত মহারাষ্ট্রীয়গণের লুণ্ঠনে উদয়পুরের প্রজাগণ হৃত কৃষ্ণকুমারীর ঐতিহাসিক মূল ।