পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R R জীবন-চাবিত । ক্ষীর দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিলে অতি নীরস হৃদয়ও ভাবে পরিপূর্ণ হয় ; এবং গ্রামটীকে স্কটের ভাষায় “কবিপুত্রের উপযুক্ত ধাত্রী” “Meet nurse for a poetic child" < f(5 et 3 (3 frt(qa (SF&- স্নালোকে যিনি কপোতাক্ষীর সৌন্দর্য দর্শন করিবেন, তিনি বুঝিতে পরিবেন যে, মধুসূদন যে তাঁহাকে দুগ্ধস্রোতের সহিত তুলনা করিয়াCछ्न्, ऊार्श अनश्रङ झश न्ाहे । খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম গ্রহণেব পর মধুসূদন তাহার জীবনেব অতি সামান্য ংশই সাগরদাড়ীতে অতিবাহিত করিয়াছিলেন। কিন্তু স্বদেশেৰ মনোহারিণী মূৰ্ত্তি তাহার হৃদয়ে চিবজাগরূক ছিল । বাল্যাবস্থায় কোথায় তিনি ক্রীড়া করিতেন, কোথায় বেড়াইতে ভালবাসিতেন, পূৰ্ণবয়সে তাহা তাহার সুস্পষ্টরূপ স্মরণ ছিল । সাগা পর্দাড়ীর রাস্তাগুলি পাকা করিাসা বঁধাইলেন, কপোতাক্ষীতে একটি অবতরণিকা প্ৰস্তুত করাইয়া দিবেন এবং তাহার কুলে “মাইকেলোদ্যান” নামক একটি উদান নিৰ্ম্মাণ করাইয়া, সেখানে একটা সিদ্যালয় প্ৰতিষ্ঠিত করিবেন, এই তাতাব বাসনা ছিল । কিন্তু তাহার জীবনের অন্যান্য সহস্ৰ অভিলাষের ন্যায় ইঙ্গার কোনটীষ্ট পূর্ণ হয় নাই । বহুকাল প্ৰবাসের পর, একবাৰ সাগর দাড়ীতে আসিয়া, তিনি বলিযাছিলেন, “এই মধুমাখা স্থানে আসিলে যেমন আনন্দ পাওয়া যায়, পৃথিবীর আর কোন স্থানে গেলে সেরূপ পাওয়া যায় না।” আর এক দিন কপোতাক্ষীর কূলে বেড়াইতে বেড়াইতে বলিয়াছিলেন, “কপোতাক্ষ, যে তোমার তীরে পাতার কুটীরে বাস করিতে পায়, সেও পরম সুখী ।” সুদূৰ ফরাসী ভূমি হইতে তিনি “কপোতাক্ষ”কে উদ্দেশ করিয়া লিখিয়াছিলেন ;- “সতত হে নদী, তুমি পড মোর মনে। সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে ; জন্মভূমির প্রতি অনুরাগ।