পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

13 2 खौवन-5डि । নলের প্রতি দময়ন্তী । °५८८ किं मां क्ष-८व् পূজিল রাজীবপদ তব যে কিঙ্করী, নরেন্দ্ৰ, বিজন-বনে অৰ্দ্ধ বস্ত্রাবৃতা তাজিলে তুমি হে যারে, না জানি কি দোষে, নমে সে বৈদভী, আজি তোমার চরণে । বীরাঙ্গনার বর্ণনীয় বিষয় উল্লিখিত হষ্টিয়াছে ; ইহাব ভাষা সম্বন্ধে দুই একটা কথা বলিয়া আমরা বীরাঙ্গন-সমালোচনা শেষ করব । ভাষাবি লালিতে বীৰাঙ্গনা মধুসূদনেব অমিত্রচ্ছন্দে বচিত গ্ৰন্থসমূহের মধ্যে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । শব্দেব জটিলতা, দুরূহতার্থতা, ক্লিষ্টতা, এবং যতিভঙ্গ প্ৰভৃতি যে সমস্ত দোষ তিলোত্তম-সম্ভব কাব্যের সৌন্দৰ্য্য হানি কবিয়াছে, বী<াঙ্গনা-কাব্যে তাহা দৃষ্টিগোচর হয় না। র্যাতাদিগের বিশ্বাস অমিত্ৰচ্ছন্দ, গম্ভীর রচনাব এবং বীররসেবা পক্ষে উপযোগী হইলেও, মধুর কোমল ভাবের উপযুক্ত নয়, বীরাঙ্গনাব ভাষা তাহাদিগের সে ভ্রম দূর করবে। বীরাঙ্গনার ভাষা মধুর অথচ ওজস্বী, প্ৰাঞ্জল অথচ গম্ভীর, এবং কবির কল্পনাতরঙ্গের সঙ্গে যেন উখান '2 পতনশীল । ইংরাজী ভাষায় যিনি অমিত্ৰচ্ছন্দের। প্ৰবৰ্ত্তন কবিয়াছিলেন, তাহার উৎকর্ষ-সাধন তাহার দ্বারা হয় নাই ; তাহার পরবর্তী কবিগণেরই দ্বারা হইয়াছিল। কিন্তু বাঙ্গালাভাষায় অমিত্ৰচ্ছন্দের প্রবর্তন এবং তাহার উৎকর্ষ-সাধন, এই উভয় গৌরবই মধুসুদৰ্শ "প্রাপ্য। বীরাঙ্গনা রচনার পর হেমচন্দ্ৰ, নবীনচন্দ্র, এবং রবীন্দ্ৰীঃ প্রভৃতি বঙ্গের প্রতিভাবান লেখকগণ ፴ጵ“ অমিত্রচ্ছন্দে কবিতা লিখিয়াছেন। কিন্তু তাহাদিগের ভাষা বীরাঙ্গনার বীরাঙ্গনার ভাষা ।