পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ অধ্যায় । যুরোপ প্ৰবাস-চতুর্দশপদী কবিতাবলী । [ >ッやペー、bやや *ー7 ] অষ্টাদশবর্ষ বয়স হইতে মধুসুদন হৃদয়ে যে আশা পোষণ কবিয়া আসিতেছিলেন, এতদিন পরে তাহা পূর্ণ হইল। শস্য-শ্যামলা জন্মভূমি, বর্ষাগমপ্ৰফুল্লা ভাগীবর্থী, এবং প্রথম জীবনেব ক্রীড়া-নিকেতন “প্ৰসাদনগরী” কলিকাতাব নিকট বিদায় গ্ৰহণ কবিয়া, মধুসুদন অর্ণবপোতে আরোহণ করিলেন । সেক্সপীযার, মিণ্টনের জন্মভূমি, এবং ভাৰ্জিল, দান্তের লীলাক্ষেত্র যুরোপভূমি দর্শনেৰ জন্য, তিনি চলিয়াছেন, তাহার হৃদয়ের ভাব বর্ণন কৰা নিম্প্রয়োজন । দেখিতে দেখিতে সেণ্টপল ধৰ্ম্ম-মন্দিদের উচ্চ শৃঙ্গ নিমগ্ন হইয়া গেল, গঙ্গাকুলবর্তি নারিকেল বৃক্ষরাজি অদৃশ্য হঠযা আসিল, এবং গঙ্গার বর্ষাজল সংস্পর্শে ঈষদার তক্ত বারিপ পরিবৰ্ত্তে সুনীল সাগবাঙ্গু ক্ৰমে তাহাব দৃষ্টিপথে পতিত হইল। মধুসুদন মহাসমুদ্রে উপস্থিত হইলেন। মহাসমুদ্র তাহাব নিকট অপবিচিত ছিল না । মন্দ্ৰিাজে অবস্তান কালে তাহার গভীর গর্জন শ্রবণ করিষা এবং বিশাল মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া তিনি পুলকিত হইয়াছিলেন । আবার যে কখনও তিনি তাহার গাম্ভীৰ্য্য উপলব্ধ করিয়া কৃতাৰ্থ হইতে পরিবেন, তাহার সে আশা ছিল না। কিন্তু বিধাতার বিধানে তাহাব আশা পূর্ণ হইয়াছিল। মহাসমুদ্রের বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া তাহার অর্ণবপোত দিন দিন ইংলণ্ডের নিকটবর্তী হইতে লাগিল । কলিকাতা পরিত্যাগের প্রায় এক মাস কাল পরে তিনি জিবাৱাণ্টরে উপনীত হইলেন। জিবৱাল্টর হইতে ইংলণ্ড-গমন ।