পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢bፖb” खौतन-5ऊि । নিজের অতীত জীবন যেরূপ অসংযত ও উচ্ছঙ্খল ভাবে গত হইয়াছিল, তাহার উল্লেখ করিয়া তিনি, অনুতপ্ত হৃদয়ে, “ভূতকাল।” নামক কবিতায় লিখিয়াছেন ;- “কোন মূল্য দিয়া পুনঃ কিনি ভূতকালে ; -कान शूना-१ भक्षीं कांप्द्ध व्याघ्र कझिं ? (कॉन क्षन, cकान भूल, cकन भवि, ऊicल এ দুর্লভ দ্রব্য লাভ ? কোন দেবে স্মরি, কোন যোগে, কোন তপে, কোন ধৰ্ম্ম ধরি ? আছে কি এমন জন ব্ৰাহ্মণে, চণ্ডালে, এ দীক্ষা শিক্ষার্থে যারে গুরুপদে বরি ?” চতুৰ্দশপদী-কবিতাবলীর সঙ্গেই মধুসূদনেব সাহিত্যিক জীবন প্রকৃত প্ৰস্তাবে সমাপ্ত হইয়াছিল । ইহাব পর তিনি আর যাহা রচনা করিয়াছিলেন, তাহার উল্লেখ না কৰিলেও ক্ষতি নাই। যুরোপীয় বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার সময়ে, সেই সকল ভাষার সাহায্যে, মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধিমতী করিবার জন্য, তাহার যে বাসনা জন্মিযাছিল, তাহা হৃদয়ে উত্থিত হইয়াই হৃদয়ে বিলীন হইয়াছিল। নিজের পরিণাম বুঝিতে পারিয়া চতুৰ্দশপদীকবিতাবলীতে তিনি বঙ্গভাষার নিকট শেষ বিদায় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন । সেই বিষাদময়ী কবিতাটা নিয়ে সন্নিবিষ্ট করিয়া, আমরা চতুৰ্দশপদীকবিতাবলীর সমালোচনা শেষ করিব । বঙ্গভাষাকে সম্বোধন করিয়া তিনি লিখিয়াছিলেন ;- “বিসৰ্জিব আজি মাগো, বিস্মৃতির জলে হৃদয়-মণ্ডপ, হয় । অন্ধকার কবি ও প্ৰতিমা । নিবাইল, দেখ, হোমানলে মনঃকুণ্ডে, অশ্রুধারা মনোদুঃখে ঝারি } শুকাইল দুরদৃষ্ট, সে ফুল্প কমলে, যার গন্ধামোদে অন্ধ এ মন, বিস্মরি