পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. VOG) জীবন-চরিত। উদারতা ও দানশীলতা, কখনও কখনও, মাত্ৰাধিক হইয়া দাড়াইত । আমরা দৃষ্টান্তস্বরূপ একটী ঘটনার উল্লেখ করিতেছি । একবার মধুসূদনের এক বাল্যসুহৃদ, * তাহার কোন পরিচিত ভদ্রলোককে সঙ্গে লইয়া, মধুসূদনের নিকট একটী মোকদ্দমা সম্বন্ধে পরামর্শ জানিবােব জন্য গিয়াছিলেন। মধুসুদন পরামর্শদান করিলে, ভদ্রলোকটী তাহাকে তাহার নিদিষ্ট পারিাশ্রমিক দিতে উদ্যত হইলেন, কিন্তু মধুসুদন কিছুতেই পারিশ্রমিক গ্রহণ করিলেন না । ভদ্রলোকটী বিদায় লইলে মধুসুদন তঁহার বাল্যসুহৃদকে বলিলেন, “ভাই ! তুমি যখন উহাকে আত্মীয় বোধে সঙ্গে লইয়া আসিয়াছ, তখন আমি কিছুতেই উহার নিকট হইতে পারিশ্রমিক লাইতে পারি না । কিন্তু আমার গৃহে আজ একটা কপর্দকও নাই ; যদি তোমার নিজের টাকা সঙ্গে থাকে, তবে, পাচটী টাকা ঋণ দিয়া, আমার স্ত্রীকে বলিয়া আইস, যেন উপযুক্ত সময়ে আমার আহাৰ্য্য প্ৰস্তুত হয়।” একদিকে তঁাহাব এইরূপ উদারতা দেখিয়া যেমন আমাদিগের আনন্দ হয়, অপরদিকে গৃহীত ঋণ পরিশোধের চেষ্টায় তাহার ঔদাসীন্যের বিষয় স্মরণ করিলে আমাদিগেব ক্লেশ বোধ হয় । অর্থাভাব হইলেই তিনি ঋণ করিতেন, কিন্তু কোথা হইতে যে সে 'ঋণ পরিশোধ হইবে, সে সম্বন্ধে একবারও চিন্তা করিত্নে না। আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, তাহার যুরোপ-প্ৰবাসকালে গৃহীত ঋণের কিয়দংশ অপরিশোধিত ছিল ; তাহার উপর আরও নুতন নুতন ঋণ হইয়াছিল। শেষাবস্থায় তিনি ঋণভাবের একবারেই অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছিলেন, এবং সামান্য দোকানদার ও দাস, দাসী হইতে আরম্ভ করিয়া আত্মীয় বন্ধু, পরিচিত, অপরিচিত নানা শ্রেণীর বহু ব্যক্তির নিকট ঋণ রাখিয়া अर्थीडांव ७ टलांब्राउ| ।

  • পদ্মিনী উপাখ্যান প্রণেতা, স্বৰ্গীয় রঙ্গলাল বাবুর কণিষ্ঠ বাবু, হরিমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়।