পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষজীবন । WOVO). ইচ্ছা যে, আমি নিজের কণ্ঠে নিজে অস্ত্ৰাঘাত করি ?” মনোমোহন বাবু বলিলেন, “সে কি, আমি তাহা বলিব কেন ?” মধুসুদন বলিলেন ; “এই দ্বিপ্রহরের সময়ে, এরূপ ভাবে, সুরাপানের পরিণাম যে কি, उांश डांशि विलक्रम জানি ; কিন্তু আমার আর উপায় নাই । কণ্ঠে অস্ত্ৰাঘাত করিলেও যাহা, এৰূপ সুরাপানেৰ পরিণামও তাঁহাই ঘটিবে । তবে অস্ত্ৰাঘাত অপেক্ষা ইহাতে, আপাততঃ, ক্লেশ অল্প বলিয়াই আমি অন্ত্রের পরিবর্তে সুরা ব্যবহার করিতেছি । * হতভাগ্য কবির শেষজীবন কিরূপ নিদারুণ যন্ত্রণায় অতিবাহিত হইয়াছিল, এই একটিমাত্ৰ ঘটনা হইতে তাহা অনুমান করিতে পারা যায় । এরূপ অত্যাচারের ও শারীরিক নিয়ম লজঘনের পরিণাম যেরূপ হইবার সম্ভাবনা, ক্ৰমে সেইরূপই হইল। অল্প দিনের মধ্যেই মধুসুদন নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হইলেন। রোগ এক প্রকারেব নয়। উদরী, কণ্ঠনালীর প্রদাহ, হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া ব্যতিক্রম প্ৰভৃতি, নানাবিধ দুশ্চিকিৎস্য ব্যাধি, তাহাকে আক্ৰমণ করিল । বিধাতা তাহাকে যে অনবদ্য স্বাস্থ্য প্ৰদান করিয়াছিলেন, নিজের অত্যাচাবের ফলে, তিনি তাহা হইতে এইরূপে বঞ্চিত হইলেন । যন্ত্রণার আর পরিসীমা রহিল না । একে অর্থাভাব, তাহার উপর পীড়ার যন্ত্রণা , মধুসুদন, বীরতার সহিত, যদিও এ সকল সহ করিতেন, কিন্তু তাহার ঋণদাতাগণ যে, প্ৰতিপদে, তাহাকে কারাগারে প্রেরণের ভীতি প্ৰদৰ্শন করিত, তাহাই তেঁাহার সর্বাপেক্ষা ক্লেশকর। বোধ হইত। ঋণদায়ে কারাগারে মৃত্যুর অপেক্ষা আত্মহত্যা কাবাই তিনি শ্ৰেয়ঃ বলিয়া মনে করিতেন । কবিজীবন দুঃখময় ইহা চিরপ্ৰসিদ্ধ ; अंौब्रिक ड्रक्षु ।

  • মনোমোহন বাবু বলিয়াছিলেন, মধুসূদনের শেষ কথাগুলি অবিকল এই ;-This is a process equally sure but less painful.