পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষজীবন ềề }} আর বলা হইল না ; প্ৰাণের বেদনা ভাষায় ব্যক্ত করিবার অবসর বিধাতা তাঁহাকে দান করিলেন না। সেই দিন, ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দের ২৯শে জুন রবিবার, বেলা দ্বিপ্রহর দুইটার সময় র্তাহার। প্ৰাণবায়ু নিসৃত হইল। বাল্যে যাহার সেবার জন্য দাসদাসীগণ ব্যগ্ৰী হইয়া থাকিত, পাছে কোনও বিষয়ে তাহার পরিচর্য্যার ক্ৰটী হয়, এই চিন্তায় যাহার পিতা, মাতা ও আত্মীয়গণ ব্যাকুল হইয়া থাকিতেন, আজ এই শেষ দিনে চিকিৎসালয়ের ভৃত্য ও শুশ্রুষাকারিণী ভিন্ন তাহার মুখে জলগণ্ডষে দিবার জন্য একজনও নিকটে ছিলেন না। রাজপথের ভিক্ষুক ও অনাথগণের সহিত একত্রে বঙ্গের বর্তমান সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি এইরূপে পরলোক গমন করিলেন । যে কাৰ্য্য সম্পাদনের জন্য বিধাতা মধুসুদনকে পৃথিবীতে প্রেরণ করিয়াছিলেন, তাহা সম্পন্ন হইয়াছিল। জননীরূপিণী মাতৃভাষার সেবা করিয়া, এবং আত্মসংযমের অভাবে প্রতিভার পরিণাম কতদূর শোচনীয় হইতে পারে, তাহার দৃষ্টান্ত প্ৰদৰ্শন করিয়া, তাহার আত্মা, প্রলোভনময় পৃথিবী পরিত্যাগপূর্বক, উৰ্দ্ধলোকে প্ৰস্থান করিলা"। সংসারের পিচ্ছিল বত্মে ভ্ৰমণ করিতে করিতে অতি সংযতস্বভাব পুৰুষকেও স্বলিতপদ হইতে হয় ; মধুসুদনও হইয়াছিলেন । তিনি জীবনে যে সকল ভ্ৰমপ্ৰমাদ করিয়াছিলেন, তাহার পুর্ণ প্ৰাযশ্চিত্ত করিয়া গিয়াছেন। কৰ্ম্মক্ষেত্ৰ পৃথিবী হইতে তিনি যে অভিজ্ঞতা লইয়া গিয়াছেন, তাহা তাহার পারলৌকিক কল্যাণ করিবে। সুখে অথবা দুঃখে তাহার জীবন যে ভাবে অতিবাহিত হউক, তাহার মানব-জন্ম-ধারণ নিরর্থক হয় নাই ; তিনি তাহার স্বদেশকে উন্নত ও গৌরবান্বিত করিয়া গিয়াছেন । মাতৃভাষার সমৃদ্ধি সাধন করিয়া তিনি তাহার স্বদেশীয়গণের যে উপকার করিয়া গিয়াছেন, বিশ্ববিধাতা, তজ্জন্য, অবশ্যই তাহাকে পুরস্কৃত করিবেন । পরলোকে তাহার হ্রস্তানপিপাসু আত্মা যেমন অনন্ত উন্নতির পথে •द्विव्लांक १ांशन ।