Oy জীবন-চরিত । বুদ্ধিমান ব্যক্তি বৰ্ত্তমান ছিলেন। খ্যাতনামা আলেকজান্দর ডফ ও প্ৰসিদ্ধ ংস্কৃতজ্ঞ হোরেস হেমান উইলসন, যথাক্রমে, পাশ্চাত্য ও প্ৰাচ্য ভাষা প্রচারার্থীদিগের পক্ষ অবলম্বন করিয়াছিলেন । এদেশীয়দিগের মধ্যে মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য এবং সুপ্ৰতিষ্ঠ বাবু রামকমল সেন প্ৰাচ্য ভাষা প্রচারের পক্ষপ গ্রী ছিলেন । উভয় পক্ষই দীর্ঘকাল ধরিয়া তর্ক ও যুক্তির দ্বারা আপন আপন পক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করিয়াছিলেন । বিবাদের শেষাবস্থায় সুপ্ৰসিদ্ধ লর্ড মেকলে পাশ্চাত্য ভাষা প্রচারার্থীদিগের পক্ষ অবলম্বন করতে তাহারই অবলম্বিত পক্ষ জয়লাভ করিলা । মহাত্মা লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দের ৭ই মার্চ দিবসের প্রসিদ্ধ অবধারণ দ্বারা স্থির করিলেন যে, ভারতবাসীদিগের মধ্যে পাশ্চাত্যা সাহিতা ও বিজ্ঞান প্রচারই গবৰ্ণমেণ্টেব। প্ৰধান কৰ্ত্তব্য এবং শিক্ষা সম্বন্ধীয় সমস্ত অর্থই সেই উদ্দেশ্য সাপনে ব্যয় করা হইবে । মহাত্মা বেণ্টিঙ্কেৰ এই অবপাবণ ভারত সমাজে কি যুগান্তর উপস্থিত কবিয়াছে, তাহার বর্ণনা করা অনাবশ্যক । १९ब्रांडी त्रिंक ॐiफ्रांtद्भ कान । মুসলমান রাজগণ ছয় শত বৎসরের আতাচারে ও নিৰ্য্যাতনেও যে পরিবর্তন করিতে পারেন নাই, বিন্দুমাত্র বলপ্ৰকাশ বাতিরেকে এক ইংরাজী ভাষাবি প্রচার হইতে লোকের মানসিক ভাব ও প্ৰবণতা সম্বন্ধে তাহার অপেক্ষা শতগুণ অধিক পরিবর্তন ঘটিয়াছে । ডিরোজিয়ের শিক্ষা নবা শিক্ষিত সম্প্রদায়েব সাংসারিক আচার, ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটাইয়াছিল ; গবৰ্ণমেণ্টের অবধারণ তাহাদিগের চিন্তা ও মানসিক ভাব সম্বন্ধে যুগান্তর উপস্থিত করল । একেইত দেশীয় শাস্ত্ৰ ও গ্রন্থানুশীলনে নব্য-শিক্ষিত সম্প্রদায়ের বিতৃষ্ণ ছিল, তাতার উপর গবৰ্ণমেণ্টের এই অবধারণ প্ৰকাশিত হইলে, সংস্কৃত গ্ৰন্থ স্পর্শ করিতেও আর তাহাদিগের প্রবৃত্তি রহিল না । গবৰ্ণমেণ্টের শিক্ষা সম্বন্ধীয় অবধারণ প্ৰকাশিত হইবার কয়েক বৎসর পূর্বে, সতীদাহ নিবারণ লইয়া,
