পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৬৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V90 জীবন-চরিত অভ্যস্ত হউক, ইহাই আমরা প্রার্থনা করি ; এবং সেইজন্য মধুসূদনের ন্যায় কবির আমরা অনুরাগী । পৌরুষ পুৰুষোচিত ভাষার সহচর। মেঘনাদবধ বাঙ্গালিকে নিশ্চয়ই পৌরুষলাভে সাহায্য করবে। মধুসুদন বঙ্গদেশে অনাদৃত হন নাই সত্য ; কিন্তু তাহার ন্যায় কবির যে সন্মান প্ৰাপ্য, র্তাহার স্বদেশীয়গণ, এখনও, তাহাকে তাহ প্ৰদান করিবার উপযুক্ত হন নাই । যদি বঙ্গদেশ, কোন দিন, পুৰুষোচিত শৌৰ্য্য লাভ করিতে পারে, তবেই এদেশে মধুসূদনের ন্যায় কবির প্রকৃত সমাদর হইবে। যে সকল উপাদানে মধুসূদনের জীবন গঠিত হইয়াছিল এবং যে সকল দোষ, গুণ র্তাহার প্রকৃতির বিশেষ লক্ষণ, উপযুক্ত স্থলে, তাহা আলোচিত হইয়াছে । তাহার আকৃতি, ধৰ্ম্ম-বিশ্বাস, এবং সাধারণ প্ৰকৃতি সম্বন্ধে এক্ষণে দুই একটী কথা বলা আবশ্যক। মধুসুদন দেখিতে নাতিদীর্ঘ, নাতিখৰ্ব্ব ছিলেন। প্রৌঢ় বয়সে তিনি অপেক্ষাকৃত স্কুলাঙ্গ হইয়াছিলেন, কিন্তু প্ৰথম যৌবনে তাহার শরীর বিশেষ সুগঠিত ও সবল ছিল । বর্ণ কৃষ্ণ হইলেও তিনি দেখিতে সুপুরুষ ছিলেন । মুখে এমন একটী কমনীয় ভাল ছিল যে, দেখিবা মাত্র, লোকের চিত্ত উৰ্তাহার প্রতি আকৃষ্ট হইত। প্ৰশস্ত ললাট, আকৰ্ণবিশ্রান্ত প্ৰতিভাবাঞ্জক নেত্ৰীদ্বয়, সতেজ সবল দেহ, দেখিলেই তিনি যে একজন প্ৰতিভাবান পুরুষ তাহা সুস্পষ্ট পরিব্যক্তি হইত। তাহাব আকার, ইঙ্গিত, প্ৰতোক কাৰ্য্য, পুরুষোচিত ভাব প্ৰকাশ করিত ; এবং যে ভাবপ্রবণতা কবি প্ৰকৃতির বিশেষ লক্ষণ তাহা র্তাহার প্রত্যেক কথায় ও, প্ৰত্যেক কাৰ্য্যে লক্ষিত হইত। বাল্যকাল হইতে পূৰ্ণবয়স পৰ্যন্ত র্তাহার স্বাস্থ্য অতি সুন্দর ছিল। নিজের অমিতাচারের ফলেই, শেষে, তাহার স্বাস্থ্য-ভঙ্গ হইয়াছিল ; কিন্তু মিতাচাৰী ফুলে, সম্ভবতঃ, তিনি দীর্ঘজীবী হইতে পারিতেন। মধুসূদনের সাধারণ ব্যবহার সম্বন্ধে অনেকের মনে অনেক রূপ ভ্ৰম আছে। ऊञछ्ाँ ५३ আকৃতি ও প্রকৃতি ।