পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্মলাভের অধিকারী কে ? সর্বদাই করিয়া থাকে। কোনও গুরুতর মোকদম উপস্থিত হইলে, লোকে কালীঘাটের কালীর নিকট মানত করিয়া থাকে, “হে মা কালী, যদি এই মোকদ্দমায় জিত হয়, তাহা হইলে তোমাকে পাঠা দিব।” এ স্থলে মানুষের ইচ্ছা দেবতার দ্বারা পূর্ণ হইবার জন্য প্রার্থনা করা হইতেছে। এই দুই প্রকারের ইচ্ছাতে পার্থক্য আমরা সহজেই দেখিতে পাই । মানব ঈশ্বরকে অকপট ভাবে চায় কি না, তাহা আমরা কি করিয়া পরীক্ষা করিব ? এমন কোনও সংকেত আছে কি ? প্রথমত, হৃদয় পরীক্ষা করিয়া দেখা উচিত যে, তুমি প্ৰত্যেক কাজে প্রত্যেক উদ্যমে নিজ ইচ্ছার চরিতার্থতা চাও, না ঈশ্বরের ইচ্ছা পূর্ণ হউক ইহা চাও? আপনাকে বড় করিতে চাও, না সত্যকে জয়যুক্ত করিতে চাও ? নিজের যশ, মান, শক্তির ক্ষেত্ৰ छैन्नङ করিতে চাও, না। সত্যের জয় হউক তাহাই চাও ? তুমি ধৰ্মসাধন কর, পরোপকার, কবি, নরসেবা-ব্ৰতে জীবন দাও, তাহাতে তোমার উৎসাহ উদ্যম থাকিতে পারে, স্বীকার করি ; কিন্তু বলি, ইহার মধ্যে তোমার নিজের ইচ্ছাও রাখিয়াছ কি ? ব্ৰহ্মকৃপা এবং মানবের আত্মগরিমা এই দুইটি একত্রে থাকিতে পারে না। যেমন পিচকারিতে যখন বায়ু থাকে তখন তাহাতে জল প্ৰবেশ করিতে পারে না, কিন্তু বায়ু টানিয়া লইলে তবে তাহাতে জল প্ৰবেশ করে, সেইৰূপ আত্মবিলোপ না করিলে ব্ৰহ্মকুপার ও আবির্ভাব হয় না । মানবের অন্তরে আত্মপ্রভাব এবং ঈশ্বরের করুণা এই দুই পদার্থই রহিয়াছে। যে পরিমাণে আত্মগরিমা হৃদয় হইতে সরাইয়া লইবে, সেই পরিমাণে তোমার হৃদয়ে ব্ৰহ্মকুপার আবির্ভাব হইবে। গান গাহিবার সময় দুর্বল গায়কের মনে যেরূপ ইচ্ছা থাকে যে, SV)