পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্মলাভের অধিকারী কে ? প্ৰসন্ন হও, তবেই সন্তুষ্ট থাকিব। আমার ধর্ম, বুদ্ধি ও বিবেক যদি সন্তুষ্ট থাকে তাহা হইলেই যথেষ্ট। তুমি নির্জনে নিঃশব্দে ভাল হইতে চেষ্টা করা ? না আড়ম্বর করিয়া লোকের প্রশংসা লইতে চেষ্টা করা ? এই উৎসবে অনেক বিশ্বাসী লোকের সমাগম হইয়াছে। সর্বদাই দেখিতে পাওয়া যায় যে, বিশ্বাসী লোকের মুখে বেশি কথা নাই, মৌনী হইয়া নিজের দায়িত্ব জীবনে উপলব্ধি করিয়া কাজ করিয়া থাকেন। র্তাহারা ভাবেন, “বিনীত ভাবে নিজের কাজ করিয়া যাই। কে কি বলে, কেহ প্ৰশংসা বা নিন্দা করিল কি না তাহা শুনিব না। নির্জনে, নিঃশব্দে ঈশ্বরের এই উৎসবে যে যা পারি। তাহাই করিব।” প্ৰকৃত ধামিক এবং বিশ্বাসী লোক কেবল ঈশ্বরের প্রসন্নতা লাভেরই প্ৰয়াস পান। অন্য কোনও জিনিসের প্রতি দৃষ্টি রাখেন না। এই জগতে সাধুভক্তের ভাগ্যেই এইরূপ ঘটে যে, লোকে, তাহাদেরই বিরোধী হয় । মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়কে অনেকেই দেখিতে পারিত না, চারিদিকেই তাহার শত্রু ছিল। এইরূপ অবস্থায় কি করিয়া সাধু মহাত্মারা প্ৰসন্ন থাকেন ? ঈশ্বরের চরণের দিকে চাহিয়া । তাহারা বলেন, “হে আমার প্রভু, পরমেশ্বর ! লোকে নাই বা বুকুক তাহাতে কিছুই ক্ষতি নাই, আমি কেবল তোমারই প্ৰসন্নত চাই, তোমারই প্ৰসন্নতা লাভের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া নিজ জীবনের কর্তব্য পালন করিয়া যাইব ।” যখন চারিদিকের লোকে BBD BBBBBD DBBB BDD BDD DDDS DBB DDBD SLBB DDDD বলুক না কেন, ঈশ্বর-চরণে আমার মাথা রহিয়াছে, তাহাই অনেক, তাহাই আমার জীবনে যথেষ্ট সান্তন৷” এই বলিয়া মনকে প্ৰবোধ দিতেন । চতুর্থত, আমাদিগের নির্ভর কোথায় ? ভগবানের উপরে, না