পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব ভক্তি ও তাহার প্রতিবন্ধক পরমাত্মা-রূপ সুত্রে সমস্তই গাথা রহিয়াছে। জড়, চেতন, মানব-সমাজ প্রভৃতি সকলই একত্র গ্রথিত রহিয়াছে। তিনিই আনিত্যে নিত্য, বিকারীতে অবিকারী, পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়, ছায়াতে সত্য এবং সমুদায় অবস্তুর মধ্যে একমাত্র সার বস্তু। আত্মাতে তিনি ‘সত্যং’ রূপে প্ৰকাশ পাইতেছেন। এইরূপে মানব তাহাকে আত্মায় দেখিতে পাইয়া, সেই আদর্শ লইয়া বাহিরে তঁাহার অন্বেষণ করিতে গেল। কোথায় গেল ? মানব-সমাজে যখন খুজিতে গেল তখন সেখানে কি দেখিল ? দেখিল, যিনি আত্মায় ‘সত্যং’ রূপে, তিনিই করুণাময় বিধাতা রূপে মানব-সমাজেও বিদ্যমান शि८छ्ञ । কিন্তু যখন আমরা মানব-সমাজ দেখি, তখন দেখিতে পাই যে, ঈশ্বর পূৰ্ণ মঙ্গলময়। মানব-সমাজে আমাদিগের মধ্যে সাধু অসাধু দুইটি ভাবই বিদ্যমান রহিয়াছে। সকলই একটি আশ্চর্য নিয়মে আবদ্ধ। সংশয়বাদীদের কথাই যদি সত্য হয়, যদি পুণ্য অপেক্ষা পাপই বেশি হয়, তবে একটি প্রশ্ন এই আসে যে, অসৎ সৎ-এর শাসনাধীন আছে কেন ? শাসনের অনুগত থাকা মানবের পক্ষে স্বাভাবিক। এই কারণে অসৎ সৎকে কিছু করিতে পারে না। যেরূপ লোকে ক্ষেত্রের জল যাহাতে বাহির হইয়া যাইতে না পারে, সেজন্য ক্ষেত্রের চারিদিকে আলি দেয়, সেইরূপ ভগবান সেতুস্বরূপ হইয়া মানব-সমাজ-রূপ ক্ষেত্ৰকে সর্বদা রক্ষা করেন । তোমার আমার সকলের মধ্যে দ্বেষ প্ৰতিহিংসা প্রভৃতি বিদ্যমান রহিয়াছে, তবু কেন মানব-সমাজ ছিন্নভিন্ন হইয়া যায় না ? দেখ, অন্যায়ের উপর ন্যায়কে প্ৰতিষ্ঠিত করিবার জন্য চিরকালই সংগ্রাম চলিতেছে। সর্বদেশের ইতিবৃত্ত পাঠ করিলেই দেখিতে পাওয়া যায় যে, S O Sè