পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नद डरिख \8 उांश्ांत €ऊिदक्षक পবিত্ৰ সাত্ত্বিকা ভক্তিকে পাই না ? যখনই চিন্তা করি, প্ৰাণে বড়ই ক্লেশ হয়। ছেলেরা যেরূপ আঙ্গুল-ধরা খেলা করে, ধরিতে আসিলেই আসল আঙ্গুলটি লুকাইয়া অপর একটি ধরিতে দেয়, সেইরূপ কে আমাদিগকে আসল কাড়িয়া লইয়া নকল ধরিতে দেয় । ভগবানের কৃপা ধরিতে গিয়া দেখি, কতকগুলি কথা, উপদেশ ও শব্দ ধরিয়াছি। কেন আমাদিগের মধ্যে প্ৰেম সঞ্চার হয় না ? ঈশ্বর ঈশ্বর করিয়া যে জন্মটা গেল, তবু কেন হৃদয়ে প্ৰেম জাগিল না ? ও সকলই শূন্য, আমাদিগের কিছুই নাই, আমরা নাস্তিক । জীবনে যদি ভগবানীকে ধন্যবাদ করিতে না পারিলাম, তবেই ত আমরা নাস্তিক। শুধু সপ্তাহান্তে একবার একবার করিয়া আস্তিক হই । আজ আত্মার পরীক্ষার দিন, আজ ঈশ্বর-চরণে পড়িবার দিন। গান অনেক করা হইয়াছে, কীর্তন ও অনেক করিয়াছি, ধর্মের কথা কত বলিয়াছি, কিন্তু তবুও কেন প্ৰেম আসিল না ? নিশ্চয়ই কোনও বিস্ত্ৰ আছে। রন্ধন করিবার সময় যেমন তৈল দিয়াই মসলাটা ফেলিয়া দেয় না, ফেনাটা না মরিলে মন্দলা দেয় না, স্ত্রীলোকেরা বলেন, “দেরি কর, গাজাটা মরুক”, তেমনি ভক্তি জন্মিবার পূর্বে গাজা মরা চাই। যাহার প্রকৃতির গাজা মরে নাই, সে এখনও ভক্তি হইতে দূরে আছে। এই আধ্যাত্মিক গাজা কি ? প্ৰথম, অহং-ভাব, ‘আমি করিব।” এই ভাব, সর্বদাই নিজের শক্তি এবং ক্ষমতার উপর দৃষ্টি । হৃদয়ে এই অহং-ভাবের প্রবলতা থাকিলে যখনই কেহ কোনও বিস্ত্ৰ উপস্থিত করে, কিংবা কোনও বিষয়ের প্রতিবাদ করে, তখনি তাহার উপর ক্ৰোধ হয়। এই অহংকার মন্দ ভাবে ও প্ৰকাশ পায়, আবার ইহা ধর্মের আকারেও প্ৰকাশ পাইয়া থাকে। বাহিরে সৎকাৰ্য করিবার বিলক্ষণ চেষ্টা রহিয়াছে, কিন্তু ভিতরে আপনাকে প্ৰকাশ করিবার ইচ্ছাই প্ৰবল। একুবের তপস্যার \be (t