পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বতৎপরতা ও ব্ৰহ্মতৎপরতা প্ৰাচীন কাল হইতে সাধুগণ ও ভক্তগণ ধর্মজগৎকে ভবনদীর পরপারে এক অত্যাশ্চর্য দেশ বলিয়া বৰ্ণনা করিয়াছেন। কেহ BDDDDBY DB SBDBBBDDDS BDB DBDBLBDBD DDDBBD DBBSBDB বলিয়াছেন উহা ব্ৰহ্মলোক, কেহ বলিয়াছেন আনন্দধাম। কথাটা একই। সংসারে আমরা সচরাচর যে অবস্থাতে বাস করি তাহা হইতে ধৰ্মজীবনের অবস্থা এত বিভিন্ন যেন তাহ আর-এক দেশ । কোন কোন বিষয়ে ধৰ্মজীবনের অবস্থা সাংসারিক জীবনের অবস্থা হইতে বিভিন্ন তাহা একবার আলোচনা করা যাউক । প্ৰথম প্ৰভেদ মূলে ; সংসার-রাজ্যে স্বতৎপরতা, অধ্যাত্মরাজ্যে ব্ৰহ্মতৎপরতা। ইহা হইতে আর-এক প্ৰভেদ উৎপন্ন হইয়াছে। স্বতৎপরতার অর্থ, আপনাকে সকলের মধ্যে প্ৰধান রূপে দেখিয়া আপনা। হইতে সকল বিচার আরম্ভ করা। ব্ৰহ্মতৎপরতার অর্থ, ব্ৰহ্মকে সকলের মধ্যে প্ৰধান রূপে রাখিয়া তাহা হইতে সকল বিচার আরম্ভ করা । একে একে কয়েকটি প্ৰভেদের বিষয় উল্লেখ করা যাইতেছে। স্বতৎপর বিচারে মানুষ প্ৰধান রূপে দেখে আপনার প্রাপ্য অধিকার বা Rights । ব্ৰহ্মতৎপরতার বিচারে দেখে আপনার কর্তব্য কাৰ্য, আপনার Duties । সুতরাং “আমাকে কিছু পাইতে হইবে, আমাকে কিছু লইতে হইবে, আমার প্রাপ্য অধিকারের সীমা কতদূর” এই সকল বুদ্ধি সংসার-রাজ্যে প্রবল। প্রকৃত ধর্মীরাজ্যে আর-এক প্রকার বুদ্ধি প্ৰবল, “আমাকে কিছু দিতে হইবে, আমাকে কিছু করিতে হইবে, আমার করণীয় বিষয়ের সীমা কোথায়’ ইত্যাদি । ধৰ্মরাজ্যে প্ৰেমই চালক এবং আত্মসমৰ্পণই প্ৰধান ভাব, সুতরাং সেখানে পাইবার চিন্তা অপেক্ষা দিবার চিন্তাই অধিক । SRV)