পাতা:মাঘোৎসবের উপদেশ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘোৎসবের উপদেশ সমাজবদ্ধ হইয়া থাকিবার উপদেশ করিয়া গিয়াছেন, অথবা তিনি কোনও সংহিতাও রচনা করিয়া যান নাই, তিনি কোনও গ্ৰন্থ লিখিয়া যান নাই। কিন্তু তিনি ধর্মের ফুৎকার দিয়াছিলেন, তিনি ধর্মের উদ্দীপনা দিয়াছিলেন, তিনি ধর্মের impulse দিয়া গিয়াছিলেন । সংক্ষেপে বলিতে হয়, বটবৃক্ষের বীজের ন্যায় ধর্মভাবের বীজ রোপণ করিয়া গিয়াছিলেন। তাহাই জগতে শক্তিশালী হইয়া উঠিয়াছে, BDDD DmBBBD DBDBD BBB BSBBDSDBDDDBD KDKKDSDDBDBD হইয়া জগতে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে এবং জগৎকে গ্ৰাস করিয়াছে। মহাপুরুষগণ এই কাজ করিয়াছেন, কেহ বা জ্ঞাতসারে ইহা করিয়াছেন, কেহ বা অজ্ঞাতসারে করিয়াছেন। মহাত্ম যীশুর উক্তি-সকল পাঠ করিলে দেখা যায়, তিনি তার ধর্মের এই শক্তি বা ইহার এই সম্ভাবনীয়তা কিঞ্চিৎ অনুভব করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন, “আমার ধর্ম সর্ষপের ন্যায়, যাহা ভবিষ্যতে প্ৰকাণ্ড বৃক্ষাকারে পরিণত হইয়া সমুদয় লোককে ছায়া প্ৰদান করিবো।” তিনি বলিয়াছেন, “আমার ধর্ম দম্বলের ন্যায়, এক কলসি দুগ্ধে এক বিন্দু দম্বল দিয়া রাখিলে যেমন দেখা যায় সমুদয় দুগ্ধ দধি হইয়া গিয়াছে, তেমনই এই ধর্ম, যাহা আমি দম্বলের ন্যায় জগতে রাখিয়া যাইতেছি, কালে ইহা মানবের ধর্মচিন্তাকে পরিবর্তন করিয়া দিবে। ; ইহা মানব-হৃদয়ের ধর্মভাবকে জাগ্ৰত করিবে ।” তিনি আপনার কাজের স্বরূপ, আপনার কাৰ্যের প্রভাব এবং তাহার আশ্চৰ্য সম্ভাবনীয়তা হৃদয়ঙ্গম করিয়াছিলেন। তার ধর্ম জগতে ধর্মজীবন উৎপন্ন করিবে, জগতের ধর্মচিন্তাকে পরিবর্তন করিবে, ইহা তিনি অনুভব করিয়াছিলেন। বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে যে ভক্তি নদী, যে নব ভক্তিধারা প্ৰবাহিত হইয়াছে, ইহার কি কোনও সম্ভাবনীয়তা নাই ? এই যে ধর্মভাব Y\90